করোনা নিয়ন্ত্রণে জারি করা জরুরি অবস্থা তুলে নিচ্ছে জাপান
জাপান সরকার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২২ মার্চ থেকে রাজধানী টোকিও এবং আশপাশের জেলা থেকে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টোকিও ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলো হচ্ছে- সাইতামা, চিবা এবং কানাগাওয়া।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
তবে, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতার বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন সুগা।
সুগা বলেন, ‘আমরা দুই সপ্তাহের জন্য এই চারটি জেলার জরুরি অবস্থা বাড়িয়ে বলেছিলাম- আমরা সতর্কতা অবলম্বন করব। তবে, প্রতিদিনের নতুন সংক্রমণের সংখ্যা না কমে স্থিতিশীল থাকার পরেও টোকিও অঞ্চলের হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা উন্নত হচ্ছে। সেজন্য সরকার ইতোপূর্বে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সুগা আরও বলেন, ‘জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হলেও রেস্তোরাঁ ও পানশালার আগে বন্ধ করার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে (টেলিওয়ার্ক) কর্মচারীদের কাজ করার অনুরোধ জানাবে সরকার।’
‘একইসঙ্গে কোনো রকম উপসর্গ ছাড়া ভাইরাসের আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে এবং শহর এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রধান শহরগুলোতে আরও বেশি পরীক্ষা চালানো হবে,’ বলেন সুগা।
করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৮ জানুয়ারি প্রথমে এই চার এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি তা ১১টি জেলায় সম্প্রসারিত করা হয় এবং তা ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, নিদিষ্ট সময় শেষে মাত্র একটি জেলা (তোচিগি) থেকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়। বাকি ১০টিতে আরও একমাস জরুরি অবস্থা বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে বিশেষজ্ঞ টিমের পরামর্শে বৃহত্তর টোকিও অর্থাৎ টোকিও, সাইতামা, চিবা এবং কানাগাওয়া এলাকার জরুরি অবস্থা আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ মার্চ পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
Comments