এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল আফগানিস্তান
কাজের কাজটা সেরে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরাই। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ। এরপর বাকী কাজটা শেষ করেন বোলাররা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল দলটি।
শুক্রবার আবুধাবিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৫ রানে জিতেছে আফগানিস্তান দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করে তারা। জবাবে ১৭ বল বাকী থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আফগানদের শুরুটা ভালো অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ৯ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারায় দলটি। তবে আরেক ওপেনার উসমান ঘনির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে কারিম জানাতের ১০২ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় তারা।
এরপর অবশ্য দ্রুত ২টি উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নবির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় লক্ষ্যই পায় তারা। মাত্র ১৫ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নবি। ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে রান করেন তিনি।
তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে জানাতের ব্যাট থেকে। ৩৮ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। উসমান গনি মাত্র ১ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। ৩৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট নিয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই খালি হাতে মাঠ ছাড়েন টিনাশে কামুনহুকাম্বে। জিম্বাবুয়ের দুর্ভোগ শুরু হয় তখন থেকেই। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে তারা।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে রিচমন্ড মুতুম্বামির সঙ্গে রায়ান বার্ল ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন। স্কোরবোর্ডে ৬২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তবে এ জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলটি। ৭ রানের মধ্যেই শেষ চার উইকেট হারালে ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন বার্ল। ২৯ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ রান করেন ডোনাল্ড টিরিপানো। আফগানদের পক্ষে ৩০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রশিদ খান। ২টি করে উইকেট পান নাভিন-উল-হক ও নবি।
Comments