করোনাভাইরাস

পাঞ্জাবের ১১ জেলায় রাতে কারফিউ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

ভারতের পাঞ্জাবে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধসহ ১১ জেলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আদেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পাঞ্জাবে করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধসহ ১১ জেলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আদেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।

আজ শুক্রবার তিনি এ আদেশ দেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে জানায়, মেডিকেল এবং নার্সিং কলেজ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সিনেমা হলে ৫০ শতাংশ ধারণ ক্ষমতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কোনো শপিং মলে একই সময়ে ১০০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না। ট্রান্সমিশন চেইন ভাঙতে আগামী ২ সপ্তাহ বাড়িতে সামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১১ট জেলায় সব সামাজিক সমাবেশ এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও বিয়ে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না এবং এসব অনুষ্ঠানে মাত্র ২০ জন ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।

আগামী রোববার থেকে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। এসব জেলায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকবে।

সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স, রেস্টুরেন্ট, শপিং মল ইত্যাদি রোববার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

লুধিয়ানা, জলন্ধর, পাতিয়ালা, মোহালি, অমৃতসর, হোশিয়ারপুর, কপূরথালা, এসবিএস নগর, ফতেহগড় সাহেব, রোপার এবং মোগার- এই ১১টি জেলায় সরকারি অফিসে ব্যক্তিগত লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে, অন্যান্য জেলাকে আপাতত এসব কঠোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হবে না। তবে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে অন্যান্য জেলায়ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোভিড টাস্ক ফোর্সের এক সভায় সভাপতিত্ব করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুই সপ্তাহ পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

2h ago