২৬০-২৭০ করতে না পারার আক্ষেপ ঝরল তাসকিনের কণ্ঠে

taskin ahmed
ছবি: আইসিসি টুইটার

উইকেটে ছিল বাড়তি বাউন্স। নিউজিল্যান্ডে যা চেনা ছবি। সঙ্গে যোগ হলো কিউই পেসারদের স্যুয়িং-গতি। সেই জালে আটকা পড়ে আরও একবার অসহায় আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মামুলি পুঁজি নিয়ে ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটে স্বভাবতই লড়াই করার পরিবেশ ছিল না টাইগার বোলারদের। তাসকিন আহমেদের কণ্ঠেও ফুটে উঠল সেই হাহাকার।

শনিবার ডানেডিনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ। তাদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকরা পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট আর ১৭২ বল হাতে রেখে। অথচ সিরিজ শুরুর আগে এবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দারুণ কিছু করে দেখানোর প্রত্যাশা জোরেশোরে ব্যক্ত করেছিলেন সফরকারী অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে জয় এখনও অধরা বাংলাদেশের। সেই বৃত্ত ভাঙতে টিম ম্যানেজমেন্ট তুরুপের তাস ভাবছে দলের তরুণ পেসারদের। কিন্তু লড়াইয়ের জন্য কিছু না কিছু তো দিতে তো হবে ব্যাটসম্যানদের! রানে ভরা উইকেটেও ম্যাচের মাঝপথেই ফল প্রায় পুরোপুরি নির্ধারিত হয়ে যায়। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডানহাতি পেসার তাসকিন জানান, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা আমাদের ভালো হয়নি। যদি আমরা ২৬০-২৭০ রান করতাম, তাহলে গল্পটা অন্যরকম হতে পারত। আমরা ততটা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। (নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল) মাত্র ১৩২ রান। এটা নিয়ে কিছু করার থাকে না আসলে। রান ২৬০-২৭০ হলে, আমরা (বোলাররা) আক্রমণাত্মক হতে পারতাম।’

তিন পেসার নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদের ওপর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা আগ্রাসন চালালেও তাসকিনের মধ্যে মেলে পাল্টা জবাবের ঝাঁজ। এছাড়া, অভিষিক্ত অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান নিয়ন্ত্রিত স্পিনে নজর কাড়েন। বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমরা এখানে আসার পর কোয়ারেন্টিন শেষে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি আবারও বলছি, ২৬০-২৭০ হলে লড়াই করা যেত। ১৩০ বা এ ধরনের স্কোরে হারাটাই সহজ।’

দুদলের ওয়ানডে সিরিজের আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আগামী ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চ ও ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে মুখোমুখি হবে তারা। সেসব সামনে রেখে বাজে হার থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাসকিন, ‘আমরা ভালো কিছুর প্রত্যাশায় আছি। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের জন্য সবসবয়ই (বিদেশের মাটিতে খেলা) খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।  বিশেষ করে, নিউজিল্যান্ডে। এখানে আমরা এখনও কোনো ম্যাচ জিতিনি। আশা করছি, সামনের ম্যাচে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারব।’

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

12h ago