ষষ্ঠ বোলার: সৌম্যকে নিয়ে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছিলেন, একাদশে থাকলে সৌম্য সরকার ফিরতে পারেন ওপরে। অর্থাৎ তার স্বাভাবিক পজিশনে। প্রথম ম্যাচে সে কথার প্রতিফলনও মিলল। কিন্তু সৌম্যকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইতি ঘটছে না এখনই। ষষ্ঠ বোলারের নতুন ভূমিকায় তাকে খেলানোর কথা জানালেন তামিম।
বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ছিল ঘরের মাঠে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই সিরিজের আগে আচমকা জানানো হয়, বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্যকে সাতে নামানো হবে। ইনিংসের শেষে দ্রুত রান তুলতে তাকে দেওয়া হবে ফিনিশারের ভূমিকা। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পাওয়া সৌম্য তিন নম্বর ওয়ানডেতে ৮ বলে ৭ রান করে রানআউট হয়ে যান।
ওই সিরিজে তিন নম্বরে খেলে ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিউজিল্যান্ড সফরের দলে থাকলেও শনিবার ডানেডিনে জায়গা পাননি তিনি। তার পরিবর্তে সৌম্যকে খেলানো হয় তিনে। অর্থাৎ এক ম্যাচেই শেষ হয় তাকে ফিনিশার হিসেবে যাচাই করে দেখা। এদিন অবশ্য ৩ বল খেলে ট্রেন্ট বোল্টকে অযথা স্ল্যাশ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। খুলতে পারেননি রানের খাতা।
১৩১ রানের মামুলি সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের লড়াইয়ের উপায় ছিল না। সেটা হয়নিও। মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের পর ষষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে বল তুলে দেওয়া হয় সৌম্যর হাতে। ১ ওভারে ৫ রান দিয়ে তিনি থাকেন উইকেটশূন্য।
সবশেষ ১৩ ইনিংসে সৌম্যর হাফসেঞ্চুরি মাত্র একটি। এমন ফর্ম নিয়েও কেন একাদশে তিনি? তা-ও আবার তিন নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে? ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম টানেন ষষ্ঠ বোলারের প্রসঙ্গ।
‘বাংলাদেশে এই কথাটা আমরা বলেছি যে, সৌম্যকে আমরা সাত নম্বরের ভূমিকায় দেখছি। কিন্তু আমরা আজকে যে দলটা খেলেছি, এই দলটার যদি আপনারা কম্বিনেশন দেখেন, আমাদের ছয় নম্বর বোলার কেউ ছিল না। (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাই তার পিঠের চোটের কারণে বল করতে পারছেন না। হয়তো এই পুরো সিরিজে বল করতে পারবেন না। তো আমাদের ছয় নম্বর বোলিং অপশনই ছিল সৌম্য।’
‘যে কম্বিনেশনে আজকে খেলেছি, ওই হিসাবে তিন নম্বরে ব্যাটিং করার জন্য সৌম্যই সবচেয়ে উপযুক্ত ছিল। যদি আপনারা খেলোয়াড়গুলোকে দেখেন, যারা যারা আজকে খেলেছে, ও-ই ছিল তিন নম্বরে খেলার মতো। এই কারণেই তার তিনে খেলা। যেহেতু ও তিনে খেলেছে আগে, নিউজিল্যান্ডে ওর অভিজ্ঞতা আছে। আমরা পাঁচটা বোলার নিয়ে খেলেছি। এই পাঁচটা বোলারের মধ্যে যদি কেউ ভালো না করে, তাহলে আমার ছয় নম্বর বোলিং অপশন হিসেবে সৌম্যই আছে।’
উল্লেখ্য, ৫৯ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে মাত্র ১৬ ইনিংসে বোলিং করেছেন পার্ট-টাইমার সৌম্য। ৩৪.৫০ গড়ে তার শিকার ১০ উইকেট। ইকোনমি ৫.৯৩। তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। কলম্বোয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৫৬ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
Comments