শাল্লায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালী ও মুন্সিগঞ্জে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে নোয়াখালী ও মুন্সিগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালীর মাইজদী টাউন হল মোড় এলাকায় বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু বিনয় কিশোর রায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নোয়াখালী জেলা শাখা সভাপতি মাখন লাল দাস, সাধারণ সম্পাদক কিশোর চন্দ্র শীল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘আমরা এক দেশের নাগরিক। আমাদের ধর্ম আলাদা হতে পারে। কিন্তু, রাষ্ট্র আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের কাছে আমাদের দেশ ও দেশের ভাবমূর্তিকে ছোট করতে একটি কুচক্রী মহল সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-ভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয় সমাবেশে।
দুপুরে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বাংলাদেশকে যারা অশান্ত করে দিতে চায় তাদের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। মসজিদে মাইকিং করে যেসব উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া হয় এসব বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে সরকারকে।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজয় চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধকালীন তিন থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের মোল্লা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমর কুমার ঘোষ প্রমুখ।
Comments