লকডাউনে ইংল্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দিতে আইনপ্রণেতাদের আহ্বান

ইংল্যান্ডে লকডাউন চলার মধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দিতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৬০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট সদস্য।
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: রয়টার্স

ইংল্যান্ডে লকডাউন চলার মধ্যে প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দিতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ৬০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট সদস্য।

আজ শনিবার রয়টার্স জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে চিঠি দিয়ে তারা লকডাউনের সময় ইংল্যান্ডে প্রতিবাদ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান।

লকডাউনের মধ্যে ইংল্যান্ডে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রতিবাদ কর্মসূচির ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছেন কনজারভেটিভ সংসদ সদস্য স্টিভ বেকার ও এড ডেভিসহ লিবারেল ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতাদের একটি দল।

তারা জানায়, প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন কোনো ফৌজদারি অপরাধ হওয়া উচিত নয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে তারা বলেন, ‘আমরা আপনার প্রতি সমাবেশের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, প্রতিবাদ কর্মসূচির ক্ষেত্রে সেটি ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

এর প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে ইংল্যান্ডে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৯ মার্চের পর প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলো সামাজিক দূরত্ব মেনে আবার শুরু হতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এখনও মহামারিতে আছি। তাই বৃহত্তর বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবাইকে জনসমাবেশ এড়ানোর আহ্বান জানাই।’

গত ১৩ মার্চ লন্ডনে সারাহ এভারার্ড হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের বলপ্রয়োগের ঘটনায় যুক্তরাজ্যজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সেদিন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চার নারীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

৩৩ বছর বয়সী সারাহ এভারার্ডকে হত্যার অভিযোগে ওয়েইন কোজেনস নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর পরই দেশটিতে নারী নিরাপত্তা ও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা ও বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে, স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

এদিকে, ইংল্যান্ডে লকডাউন বিরোধীদের একটি দল স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে যেন কোনো সমাবেশ করতে না পারে এ কারণে বিক্ষোভ সমাবেশের বিরুদ্ধে সরকার কঠিন আইন করার কথা জানায়। ইংল্যান্ডজুড়ে এর ব্যাপক সমালোচনা হয়।

পুলিশ জানায়, লন্ডনে কোভিড-১৯ বিধি লঙ্ঘনকারী একদল লোক সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে। এ ধরনের কোনো সমাবেশ হলে পুলিশ সব প্রতিবাদকারীকে জরিমানা বা গ্রেপ্তার করবে।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

12h ago