জাদরানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়েকে আফগানিস্তানের হোয়াইটওয়াশ
নাজিবুল্লাহ জাদরানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়ল আফগানিস্তান। সেই পুঁজি কাজে লাগিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন রশিদ খান-মোহাম্মদ নবিরা। বড় জয়ে জিম্বাবুয়েকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল তারা।
শনিবার আবুধাবিতে শেষ ম্যাচে ৪৭ রানে জিতেছে আসগর আফগানের দল। ঘরের মাঠ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্যবহার করা আফগানিস্তান টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান তোলে। জবাবে কখনোই প্রতিপক্ষের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারেনি জিম্বাবুইয়ানরা। আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপরীতে শন উইলিয়ামসের দল করতে পারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান আনেন রহমতুল্লাহ গুরবাজ ও উসমান ঘানি। তাতে আফগানরা পেয়ে যায় বড় পুঁজির ভিত। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরেন জাদরান। এক প্রান্ত আগলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি আসে পঞ্চম উইকেটে। আসগরকে সঙ্গে নিয়ে জাদরান যোগ করেন ৩১ বলে ৫৯ রান।
৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়া বাঁহাতি জাদরান শেষ পর্যন্ত করেন ৩৫ বলে ৭২ রান। তার ইনিংসে ছিল সমান ৫টি করে চার-ছক্কা। তার ঝড়ে শেষ ৫ ওভারে ৭৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। এছাড়া, ঘানি ৩১ বলে ৩৯, করিম জানাত ১৪ বলে ২১ ও আসগর ১২ বলে ২৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারে বিপদ ঘটে সফরকারীদের। টিনাশে কামুনহুকামাউইকে ছেঁটে ফেলেন অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি। আরেক ওপেনার টারিসাই মুসাকান্ডা ও উইলিয়ামস এরপর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর মড়ক লাগে তাদের ইনিংসে।
অল্প সময়ের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে। সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা অবশ্য হয় বল খরচ করার কারণে। এসময়ে ২৯ বল থেকে মাত্র ১৭ রান তুলতে পারে তারা। উইলিয়ামসকে বিদায় করেন নবি। মুসাকান্ডা হন নাভিন উল হকের শিকার। ১১তম ওভারে পরপর দুই ডেলিভারিতে মিল্টন শুম্বা ও রিচমন্ড মুটামবামিকে সাজঘরে পাঠান পেস অলরাউন্ডার জানাত।
অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল আফসোসই বাড়ান। ৫৮ বলে ৮০ রানের জুটি গড়েন তারা। তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমে। রাজা ২৯ বলে ৪১ ও বার্ল ৩১ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানদের হয়ে জানাত ৩৪ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট পান ফারুকি, নবি ও নাভিন। রশিদ ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে থাকেন উইকেটবিহীন।
Comments