‘বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, মোদি বিরোধিতায় উদ্বিগ্ন নই’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন আজ শনিবার বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে একটি গ্রুপের বিরোধিতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
‘কিছু মানুষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে,’ তিনি বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। দুয়েকজন এই সফরের বিরোধিতা করছে এবং তাদের করতে দিন। আমাদের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকার গর্বিত যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাংলাদেশে আসছেন। আমরা তার সফরের সময় তাকে সব ধরনের সুরক্ষা দেব।’
মোমেন বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশে আগত সব রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানকে সর্বাত্মক সুরক্ষা প্রদান করবে এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বজায় রেখে যথারীতি তাদের সমস্ত কর্মসূচি পরিচালনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘মৌলবাদীদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়, সে সম্পর্কে দেশের জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুব ভালো জানেন।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পাঁচ সরকার প্রধান মূলত এখানে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য নয়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে যোগ দিতে আসছেন।’
‘সুতরাং, যারা বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন, যদি তারা বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে সম্মান করেন এবং দেশকে ভালোবাসেন আমি তাদের আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং বিএনপির সঙ্গে যোগসূত্র থাকা অন্যান্য দল ও গোষ্ঠীগুলোকে মোদির সফরের বিরোধিতা করে দ্বৈত নীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলেন, কেননা তারা মোদি সরকারের প্রথম মেয়াদে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামী ২৬ মার্চ ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
Comments