বেনজেমার নৈপুণ্যে ফের বার্সাকে টপকাল রিয়াল
করিম বেনজেমাকে থামানোই দায়! অসাধারণ ছন্দে আছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। মাঠ নামলেই পাচ্ছেন গোল। সেল্তা ভিগোর বিপক্ষেও ব্যতিক্রম হয়নি। তার নৈপুণ্যে রিয়াল মাদ্রিদ পেয়েছে দারুণ জয়। ফলে জিনেদিন জিদানের দল টপকে গেছে বার্সেলোনাকে। ফের লা লিগার পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠেছে তারা।
শনিবার রাতে সেল্তার মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন বেনজেমা। পরে স্বাগতিকদের হয়ে ব্যবধান কমান সান্তি মিনা। একেবারে শেষদিকে মার্কো আসেনসিও আবার ব্যবধান বাড়ান।
লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা দশ ম্যাচ ধরে অপরাজিত রিয়াল। গত বছরের নভেম্বরে শেষবার হেরেছিল তারা। তাদেরকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ভ্যালেন্সিয়া। এরপর লস ব্লাঙ্কোসরা জিতেছে ছয়টি। ড্র করেছে চারটি। সবশেষ ২০১৬ সালের মেতে টানা ১১ অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত ছিল তারা।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন বেনজেমা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের নান্দনিক শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এই গোলে টনি ক্রুসের অবদানও কম নয়। সেল্তার বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে দুর্দান্ত একটি পাস দেন তিনি। দশ মিনিট পর বাঁ পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। আদায় করে নেন প্রতিপক্ষের ভুলের পুরো ফায়দা।
শেষ চার ম্যাচে ছয় গোল পেলেন বেনজেমা। চলতি লিগে তার গোল বেড়ে হলো ১৭টি। তিনি আছেন সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার তিনে। ২১ গোল নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনার লিওনেল মেসি। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের লুইস সুয়ারেজ ১৮ গোল নিয়ে আছেন দুইয়ে।
৪০তম মিনিটে একটি গোল শোধ করে সেল্তা। দেনিস সুয়ারেজের ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে রিয়ালের জাল কাঁপান মিনা। এতে জমে ওঠে লড়াই। পুরো ম্যাচে বল দখলে সামান্য আধিপত্য দেখায় সেল্তা। সুযোগ তৈরিতেও তারা খুব একটা পিছিয়ে ছিল না। রিয়ালের চারটি শটের বিপরীতে তাদের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
তবে লা লিগার শিরোপাধারীদের রুখে দেওয়া সম্ভব হয়নি সেল্তার। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে রিয়াল পায় তৃতীয় গোল। বেনজেমার পাসে আলতো টোকায় জাল খুঁজে নেন বদলি আসেনসিও। তাতে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় জিদানবাহিনীর।
২৮ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৬০। শীর্ষে থাকা অ্যাতলেতিকোর অর্জন ৬৩ পয়েন্ট। তিনে নেমে যাওয়া বার্সার পয়েন্ট ৫৯। এই দুটি দলের হাতে অবশ্য একটি করে ম্যাচ আছে।
Comments