কালো টাকা সাদা, বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় সব রেডি ফ্ল্যাট

ঢাকায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত বেশিরভাগ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেছে।
প্রতীকি ছবি। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ঢাকায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত বেশিরভাগ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গেছে।

নির্ধারিত পরিমাণ কর দিয়ে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই অবৈধ ও অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগ করা যাবে নির্দিষ্ট কিছু খাতে। সরকারের এমন ঘোষণার পর থেকেই বেড়েছে জমি ও ফ্ল্যাটে এসব টাকার বিনিয়োগ।

বাড়ি ক্রয়ের জন্য কম সুদে ঋণ এবং শেয়ারবাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এই চাহিদা আরও বেড়েছে।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) জানায়, ২০১৮ সালের মে মাসে প্রায় ১১ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত অবস্থায় ছিল।

অথচ এখন পত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা যায় বাড়ি তৈরির জন্য জমি খুঁজছেন ল্যান্ড ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানগুলো।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘মহামারির মধ্যে আমরা সম্পূর্ণ তৈরি অ্যাপার্টমেন্ট বানানোর ঝুঁকি নেইনি। তবে সরকারের নীতিনির্ধারণী সহায়তার কারণে চাহিদা বেড়েছে। এজন্যই বর্তমানে চাহিদার বিপরীতে সম্পূর্ণ তৈরি অ্যাপার্টমেন্টের ঘাটতি আছে।’

তিনি জানান, গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে প্রায় দুই হাজার ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে।

রিহ্যাব সভাপতি মনে করেন, আবাসন খাতে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের এই সহায়তা আরও বাড়ানো উচিৎ। বিশেষ করে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি প্রায় ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাত শতাংশ করা উচিৎ।

বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াসের (বিটিআই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফআর খান বলেন, সরকারের ঘোষিত কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পাশাপাশি ব্যাংক আমানতের ওপর কম হারে সুদ দেওয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে ফ্ল্যাটের চাহিদা বেড়েছে।

যাদের কাছেই বিনিয়োগ করার সুযোগ ছিল তারা এই মহামারির মধ্যে স্থায়ী সম্পদ হিসেবে ফ্ল্যাট কিনেছেন।

সম্প্রতি ভবন তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, এর কারণে ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়ে যাবে এবং এর প্রভাব সরাসরি গ্রাহকদের ওপর পড়বে।

গত ডিসেম্বরে ইস্পাতের দাম প্রায় ১৭ শতাংশ এবং সিমেন্টের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।

তবে এফআর খান বলেন, মহামারির পর এখনও প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাটের দাম বাড়ায়নি। কারণ তারা আগের দামে কেনা কাঁচামাল ব্যবহার করেছে।

রিহ্যাবের সহসভাপতি ও স্কিরোজ বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল মাহমুদ বলেন, এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ বর্গফুটের মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটের চাহিদা বেড়েছে। মূলত, সম্পূর্ণ তৈরি ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি। কারণ, শুল্ক সুবিধায় অর্থ বিনিয়োগে তারা সময় নষ্ট করতে চান না।

তিনি বিশ্বাস করেন, সরকার যদি এ জাতীয় সুযোগ অব্যাহত রাখে তাহলে দেশের রিয়েল এস্টেট খাত এ বছরও অনেক ভালো করবে এবং মহামারির প্রভাবে যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে মূল প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে Ready flats almost sold out

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

8h ago