কলাবাগানে শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ আদালতের

বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশকে আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।

আজ রোববার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন জানালে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এই তারিখ নির্ধারণ করে দেন।

আবেদনে আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘এখনো প্রধান আসামির ডিএনএ এবং আসামি মাদকসেবী কি না সে সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। নিহত শিক্ষার্থীর কাপড়ে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে— সেই প্রতিবেদনও হাতে আসেনি। যে কারণে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আরও সময় প্রয়োজন।’

এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে এ পর্যন্ত পুলিশ চার দফা সময় চেয়ে আবেদন জানালো।

গত ৭ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ওই দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখা সংক্রান্ত পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।

অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি দল হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়— উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোপালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে ওই স্কুলছাত্রীকে দাফন করা হয়।

 

আরও পড়ুন:

‘ধর্ষকের বিচারের ক্ষেত্রে যেন অন্য কোনো প্রভাব প্রশ্রয় না পায়’

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ফরেনসিক চিকিৎসক

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ: আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

‘ধর্ষণের বিষয়টি লুকাতে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে’

কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

Comments

The Daily Star  | English

BNP at 47: Caught between prospects and perils

The BNP has survived Sheikh Hasina’s 15-year rule, during which over a million cases were filed against its leaders and activists for trying to launch street agitations demanding elections under a non-partisan government. Thousands were jailed, including Chairperson Khaleda Zia and other top leaders.

12h ago