খুলনায় তুষার-ইমরুলের আক্ষেপ, বিকএসপিতে সাইফের সেঞ্চুরি
জাতীয় লিগের প্রথম ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইফ হাসান। ইমার্জিং দলের হয়ে কদিন আগে রান পাওয়া এই ব্যাটসম্যান ছন্দ ধরে রাখলেও রংপুর বিভাগের আলাউদ্দিন বাবুর তোপে পড়েছে ঢাকা বিভাগ। প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছেন খুলনার তুষার ইমরান আর ইমরুল কায়েস।
বিকেএসপিতে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৯৭ রান করেছে ঢাকা। সাইফ করেন ২৩৩ বলে ১২৭ রান। অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী করেন ৬৯ রান। মাইদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। রংপুরের হয়ে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছে মিডিয়াম পেসার আলাউদ্দিন বাবু।
সকালে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে কোন রান করার আগেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। এরপর ৭৯ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেন সাইফ-অঙ্কন। ৪৭ করে অঙ্কন ফেরার পর আবার ধস। দ্রুত ফেরেন তাইবুর পারভেজ আর শুভাগত হোম। ৬ষ্ঠ উইকেটে নাফিদের সঙ্গে আসে সাইফের ১৩৭ রানের জুটি। সেঞ্চুরিও তুলে নেন সাইফ। শেষ বিকেলে দুজনকেই তুলে নিয়ে ফের রংপুরকে খেলায় এনেছেন আলাউদ্দিন। হাতে শেষ দুই উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিনে নামবে ঢাকা।
খুলনায় প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে স্বাগতিকদের চাপে রেখেও পুরো ফায়দা তুলতে পারেনি সিলেট বিভাগ। প্রথম দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে খুলনা। সর্বোচ্চ ৯৯ রান করে রান আউট হয়েছেন অভিজ্ঞ তুষার। ইমরুলের ফিরেছেন ৯০ রান করে।
দুই সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার দিনে সিলেটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন টেস্ট দলের নিয়মিত দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি আর ইবাদত হোসেন।
টস জিতে খুলনাকে ব্যাট করতে দিয়েছিল সিলেট। ইমরানুজ্জামানকে বোল্ড করে শুরুটাও ভাল এনেছিলেন আবু জায়েদ। দ্বিতীয় উইকেটেই পরিস্থিতি ঘুরে যায়। রবিউল ইসলাম রবির সঙ্গে ১১০ রানের জুটি পেয়ে যান ইমরুল। ৩৭ করে রবি ফেরার পর তুষারকে নিয়ে শতকের দিকে এগুচ্ছিলেন ইমরুল। আরেক স্পেলে ফিরে ৯০ রানে থাকা ইমরুলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান আবু জায়েদ।
পরে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জমে যায় তুষারের জুটি। ২২ করা নুরুলকে ফিরিয়ে ৬১ রানের জুটি ভাঙ্গেন এনামুল হক জুনিয়র। খানিক পর জিয়াউর রহমানকে তুলে নিয়েছিলেন খালেদ আহমদ। তুষার চলে গিয়েছিলেন সেঞ্চুরির একদম কাছে। কিন্তু ঠিক ৯৯ রানে তাকে রান আউট করে দেন জায়েদ।
শেষ বিকেলে মইনুল ইসলামকে নিয়ে অপরাজিত আছেন অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম।
Comments