রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়েছে ১ হাজার ঘর
কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী এলাকার পাঁচটি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আগুনের ঘটনায় প্রায় এক হাজার ঘর ও দোকান পুড়ে গেছে।
তবে এই প্রতিবেদন তৈরির সময় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামছু-দৌজা নয়ন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর ব্লকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পাশের ৮-এইচ, ৯, ১১ ও ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
‘আগুনে অন্তত এক হাজার বসত ঘর পুড়ে গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি,’ বলেন তিনি।
তিনি জানান, প্রাণহানি এড়াতে ক্যাম্পগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের অন্যান্য ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সামছু-দৌজা আরও বলেন, ‘বিকেলে বালুখালীর ৮-ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে। হাওয়ার তোড়ে দ্রুত পাশের ক্যাম্পগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন।’
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কমান্ডার মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবির ভীষণ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। চৈত্রের হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের যানবাহনও ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। তাই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
‘উখিয়া ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিট, টেকনাফের দুইটি ইউনিট, কক্সবাজারের দুইটি ইউনিট ও রামুর একটি ইউনিটসহ মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে,’ বলেন তিনি।
এ প্রতিবেদন তৈরি সময় রাত পৌনে নয়টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা ডা. ফয়সাল আনোয়ার জানান, বালুখালীর ক্যাম্পে বলিবাজারের শতাধিক দোকান ভস্মিভূত হয়েছে।
আরেক রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদ জানান, আগুন লাগার পর জীবন বাঁচাতে লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। হুড়োহুড়িতে অনেক নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছেন।
তাদেরকে রোহিঙ্গা শিবিরে এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বালুখালী পানবাজার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোহাম্মদ ইয়াছিন জানান, আগুন লাগার পর ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে বালুখালী অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন:
Comments