লাকমলের সুইংয়ের পসরার পর কর্নওয়াল দেখালেন ব্যাটিং সামর্থ্য
শ্রীলঙ্কার পেসার সুরঙ্গা লাকমল মেলে ধরলেন সুইংয়ের পসরা। তাতে কুপোকাত হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুইশ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল। কিন্তু রাহকিম কর্নওয়ালের ভাবনা ছিল অন্যরকম। জশুয়া ডা সিলভার সঙ্গে তিনি গড়লেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে তিনি বসালেন চালকের আসনে।
অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৮ রান। প্রথম ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট হওয়া শ্রীলঙ্কার চেয়ে তারা এগিয়ে আছে ৯৯ রানে।
আগের ৫ টেস্টে কর্নওয়ালের রান ছিল মোটে ৩৯। যদিও ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাট হাতে তার পারফরম্যান্স বেশ ভালো, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেই সামর্থ্যের ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে তিনি বেছে নেন মোক্ষম সময়। তিনি যখন উইকেটে যান, ততক্ষণে ক্যারিবিয়ানদের ৭ উইকেট শেষ, লিড কেবল ২ রানের।
নয়ে নেমে এই দীর্ঘদেহী স্পিন অলরাউন্ডার অপরাজিত আছেন ৬০ রানে। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা রয়েছে। অষ্টম উইকেটে জশুয়ার সঙ্গে তিনি যোগ করেন ৯০ রান। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আরও একবার বিপদের মুখে নজর কাড়েন। তিনি ১২৪ বলে ৫ চারে করেন ৪৬ রান।
কর্নওয়াল-জশুয়ার দৃঢ়তার আগে দিনটা ছিল লাকমলের। এই অভিজ্ঞ বোলার ৪৫ রানে নেন ৫ উইকেট। উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে আগের দিনের ৩ রানে বিদায় করে তার উইকেট উৎসবের শুরু। তখন স্বাগতিকদের রান ১৩। এরপর ৫৬ রানের জুটিতে বাজে শুরু সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন জন ক্যাম্পবেল ও এনক্রুমা বনার।
বনারকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। দুশমন্থা চামিরার শিকার হন হন ক্যাম্পবেল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা, যার সবগুলো যায় লাকমলের ঝুলিতে। তিনি একে একে ফেরান জার্মেইন ব্ল্যাকউড, কাইল মেয়ার্স, জেসন হোল্ডার ও আলজারি জোসেফকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ১৬৯
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ১০১ ওভারে ২৬৮/৮ (ব্র্যাথওয়েট ৩, ক্যাম্পবেল ৪২, বনার ৩১, মেয়ার্স ৪৫, ব্ল্যাকউড ২, হোল্ডার ১৯, জশুয়া ৪৬, জোসেফ ০, কর্নওয়াল ৬০*, রোচ ৪*; লাকমল ৫/৪৫, বিশ্ব ০/৫২, চামিরা ২/৭১, এম্বুলদেনিয়া ১/৬৪, ধনাঞ্জয়া ০/৩০)।
Comments