২৩ মার্চ তারিখটা কি মুশফিককে আলাদা করে পোড়াবে?
সেদিনও ছিল ২৩ মার্চ। ২০১৬ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে আলোর ঝিলিকের আভাস দেওয়া রাতটা মুশফিকুর রহিম করে দিয়েছিলেন নিকষ অন্ধকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নিশ্চিত জিততে থাকা অবস্থা থেকে তার ভুলে ১ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ২০২১ সালের আরেক ২৩ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিমি নিশামের সহজ ক্যাচ ছেড়ে বাংলাদেশের আক্ষেপের কারণ হলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আজ ম্যাচের ৩৬তম ওভারের ঘটনা। নিউজিল্যান্ডের জিততে তখনো দরকার ১০১ রান। মাত্রই একটি উইকেট ফেলে ম্যাচে ফেরার অবস্থায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ নতুন ক্রিজে আসা ব্যাটসম্যান নিশামকে দারুণ এক ডেলিভারিতে কাবু করলেন। সহজ ক্যাচ গেল কিপারের হাতে। বাঁদিকে থাকা ক্যাচ যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে অতি সহজ। মুশফিক সেটি ফেলে দিলেন। তখন ৩ রানে থাকা নিশাম পরে ৩০ রান করে আউট হন। সবচেয়ে বড় কথা তখন উইকেট নিলে যে মোমেন্টাম মিলত তা হয়ে যায় গায়েব।
পরের ওভারে ৫৮ রানে থাকা টম ল্যাথামের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন শেখ মেহেদী হাসানও। ল্যাথাম পরে অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে খেলা জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। অনেক সম্ভাবনা জাগিয়েও ৫ উইকেটে হারে বাংলাদেশ।
গত বিশ্বকাপেও নিউজিল্যান্ডে সঙ্গে মুশফিকের একটি হাহাকারের গল্প জড়িয়ে আছে। ওভালে ২৪৪ রান করে নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরে জেতার অবস্থায় চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কেইন উইলিয়াসনকে সহজ রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিক। বল যাচ্ছিল স্টাম্পের দিকেই। মুশফিক স্টাম্পের সামনে এসে তা ধরে লাগাতে গিয়ে বাঁচিয়ে দেন উইলিয়ামসনকে। সেই উইলিয়ামসনই পরে গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রানে গড়েন ব্যবধান।
২৩ মার্চের আক্ষেপ মনে করিয়েই শেষ করা যাক। ভারতকে হারাতে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম ৩ বলে দুই চারে ৯ রান নিয়ে ফেলেন মুশফিক। দ্বিতীয় চার মারার পরই করে ফেলেন আগাম উদযাপন। পরের ৩ বলে দরকার ছিল ২ রান। কিন্তু বাংলাদেশ আর ১ রানও নিতে পারেনি। হারায় পর পর তিন উইকেট। ফুলটস বলে মুশফিক ছক্কা মেরে জেতাতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। একইভাবে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে মোস্তাফিজুর রহমান হন রান আউট।
এবার অনেক দূরের ক্রাইস্টচার্চে আরেকটি ২৩ মার্চের ভুল মুশফিককে তুলল কাঠগড়ায়।
Comments