মার্শালের সেঞ্চুরিতে ঢাকা মেট্রোর লিড, রাজশাহীতে জমজমাট লড়াই

সেঞ্চুরি দিয়ে জাতীয় লিগের এবারের আসর শুরু করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিস অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। তার সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে বড় সঙ্গের পথে রয়েছে দলটি। দিনের অপর ম্যাচে রাজশাহী বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার লড়াই বেশ জমে উঠেছে।
ছবি: বিসিবি

সেঞ্চুরি দিয়ে জাতীয় লিগের এবারের আসর শুরু করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিস অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। তার সেঞ্চুরিতে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে বড় সঙ্গের পথে রয়েছে দলটি। দিনের অপর ম্যাচে রাজশাহী বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। 

বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টায়ারের এ ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩২৪ রান করেছে ঢাকা মেট্রো। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪১ রানে অলআউট হয়েছিল বরিশাল। ফলে দিনশেষে ৮৩ রানে এগিয়ে আছে ঢাকা মেট্রো।

আগের দিনের ১ উইকেটে ২৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা ঢাকা মেট্রো এদিন আর ২৩ রান করতেই শামসুর রহমানকে হারায় দলটি। তবে তৃতীয় উইকেট জাহিদুজ্জামানকে নিয়ে ৯৩ রানের জুটি গড়েন মার্শাল। এরপর জাহিদ ফিরে গেলে দ্রুত আল-আমিন জুনিয়রকেও হারায় দলটি। তবে পঞ্চম উইকেটে জাবিদ হোসেনকে নিয়ে ৮৩ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন মার্শাল। তাতেই লিডের দেখা পায় ঢাকা মেট্রো। অষ্টম উইকেটে শহিদুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনির অবিছিন্ন ৬০ রানের জুটি বড় লিডই পায় তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১২ রানের ইনিংস খেলেন মার্শাল। ১৬৫ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ১২৩ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৬০ রান করেন জাহিদ। এছাড়া জাবিদের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। শহিদুল ৪২ ও রনি ২১ রানের ব্যাট করছেন।

বরিশালের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মনির হোসেন।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টায়ারের অপর ম্যাচে দ্বিতীয় দিনে দারুণ লড়াই হয়েছে চট্টগ্রাম ও স্বাগতিকদের মধ্যে। আগের দিনের ৭ উইকেটে ২৫৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে আর ৩১ রান যোগ করতে পারে। আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া সাহাদাত হোসেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। ফলে ২৮৭ রানে শেষ হয় চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই পেসার মেহেদী হাসান রানা ও নোমান চৌধুরীর তোপে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। ফলে গড়ে ওঠেনি বড় কোনো জুটি। ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস মাত্র ২৭ রানের। আসে ফরহাদ রেজার ব্যাট থেকে। ৩১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চট্টগ্রামের পক্ষে ৪৭ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন নোমান। ৩টি উইকেট পান রানা। এছাড়া হাসান মুরাদের শিকার ২টি।

তবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেও স্বস্তিতে নেই চট্টগ্রাম। ফরহাদ রেজার তোপে মাত্র ৪৩ রান করতেই ৫টি উইকেট হারিয়েছে তারা। দুই ওপেনারই ফেরেন খালি হাতে। তবে চট্টগ্রামের আশা ধরে রেখে ২৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। রাজশাহীর ১৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন রেজা।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago