স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২ এপ্রিল মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিলে তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে ২ এপ্রিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
আজ বুধবার ২৪ মার্চ সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘এই ভর্তি পরীক্ষাটির স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে সরকারের পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা শাখা, শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল শাখা মিলে টিম-ওয়ার্ক ও কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার আগে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যেন কোনো গুজব ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিশেষ শাখাগুলো কাজ করবে। আশা করা যায়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখেই এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।’
করোনা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেশবাসীকে আরও সতর্কভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাফেরা করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতমাসে সংক্রমণের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সেটি গতকাল হয়ে গেছে ১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করোনা বেড সংখ্যা আবারও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নতুন করে আরও অন্তত পাঁচটি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেডে হাসপাতাল করা হয়েছে। তবে, দেশের মানুষ যদি মুখে মাস্ক না পরেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলেন তাহলে করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সামলানো মুশকিল হতে পারে।’
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। আর এবছর ভর্তি পরীক্ষার্থী সংখ্যা এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। পাশাপাশি এ বছর করোনার কারণে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ৫৫টি করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ও কেন্দ্রর বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ফটোকপি মেশিনের দোকান বন্ধ রাখা, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাসহ অন্যান্য তৎপরতার দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।’
Comments