ঈশ্বরদীতে যুবলীগ নেতা তমালের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে বাড়ি দখলের অপচেষ্টা ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় একটি পরিবার।
এই অভিযোগে মঙ্গলবার থানায় যুবলীগ সভাপতি তমালসহ আরও তিন-চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঈশ্বরদী পৌরসভা দরিনরিচা এলাকায় সাড়ে ৯ শতাংশ জমির ওপর স্থানীয় বাসিন্দা হায়দার আলী তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ওই বাড়ির নির্মাণকাজ চলাকালে গত সোমবার বিকেলে তমালের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা হামলা চালায়।
এসময় তারা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে বাড়ির সদস্যদের মারপিট করে এবং নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় বলে পরিবারটির অভিযোগ।
ওই হামলার ঘটনয় হায়দার আলীর পরিবারের চার সদস্য আহত হয়েছেন দাবি করেছেন তার ছেলে আশিক হায়দার।
আশিক হায়দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জাল দলিল করে উচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করে হেরে যাওয়ার পর আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তমাল বাহিনী।’
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযোগটি ডায়রি আকারে নথিভুক্ত করে তদন্তের মাধ্যমে এবং আদালতের নির্দেশক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত শিরহান শরীফ তমাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওই জায়গা আমাদের। তবে, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা কেন আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি এমন কিছুর সঙ্গে জড়িত নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। তাই আমার প্রতিপক্ষ আছে। আমাকে ফাঁসাতে বা আমাকে হেয় করতে আমার প্রতিপক্ষের কেউ তাদের দিয়ে এটা করেছে। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মোর্তজা বিশ্বাস সনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি অভিযোগ পাই তাহলে দলীয়ভাবে তদন্ত হবে। তারপর যদি তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments