পর্তুগালের জয়, ফ্রান্সের ড্র, হেরেই গেল নেদারল্যান্ডস
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পর্তুগালের শুরুটা হয়েছে কাঙ্ক্ষিত। তবে ইউক্রেনকে চেপে ধরেও প্রত্যাশিত তিন পয়েন্ট পাওয়া হয়নি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। আর নেদারল্যান্ডস হয়তো তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচটা দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যেতে চাইবে। সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা না পাওয়া ডাচরা হেরেছে বাজেভাবে।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে দুর্বল আজারবাইজানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। করোনাভাইরাসের কারণে নিজেদের মাটিতে খেলা হয়নি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোদের। ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ইতালির তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে।
একপেশে লড়াইয়ে আজারবাইজানের গোলমুখে ২৯টি শট নেয় পর্তুগিজরা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১৪টি। অন্যদিকে, অতিথিদের কোনো শটই লক্ষ্যে ছিল না। বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের জয়সূচক গোলটি আসে ৩৭তম মিনিটে। সেটাও আত্মঘাতী। রুবেন নেভেসের ক্রস রুখে দিতে গোলরক্ষক শাহরুদিন মেহেম্মেদেলিয়েভ করেন পাঞ্চ। দুর্ভাগ্যক্রমে বল সামনে থাকা মাকসিম মেদভেদেভের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
মেহেম্মেদেলিয়েভ অবশ্য কৃতজ্ঞতা পেতে পারেন সতীর্থদের কাছ থেকে। তিনি চীনের প্রাচীর হয়ে না দাঁড়ালে হারের ব্যবধান হতে পারত বড়। মোট ১৪টি সেভ করেন তিনি।
ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে হোঁচট খেয়েছে ফ্রান্স। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে তাদেরকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ইউক্রেন। ১৯তম মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমানের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। এই লিড অনেকটা সময় পর্যন্ত ধরে রাখে ফরাসিরা। তবে ৫৭তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরে ইউক্রেন। সেরহাই সিদুরচুকের শট প্রেসনেল কিম্পেম্বের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।
পুরো ম্যাচে বল দখলে প্রায় দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয় ফ্রান্সকে। প্রতিপক্ষের গোলমুখে তারা ১৮টি শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারে মোটে তিনটি। কিলিয়ান এমবাপে, অলিভিয়ের জিরুরা হাতছাড়া করেন একাধিক সুযোগ।
‘জি’ গ্রুপে তুরস্কের মাঠে ৪-২ গোলে হেরেছে নেদারল্যান্ডস। স্বাগতিকদের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার বুরাক ইলমাজ। অন্য গোলটি আসে হাকান চালহানোগলুর পা থেকে। অতিথিদের দুই গোলদাতা ডেভি ক্লাসেন ও লুক ডি ইয়ং।
১৫তম মিনিটে দলকে লিড এনে দেওয়ার পর ৩৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইলমাজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোরালো শটে জাল কাঁপিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন চালহানোগলু। তবে ডাচরা একেবারে ভেঙে না পড়ে পাল্টা লড়াই চালায়। ৭৫তম মিনিটে নিশানা ভেদ করেন ক্লাসেন। পরের মিনিটে ব্যবধান আরও কমান ডি ইয়ং।
ভীষণ রোমাঞ্চের আভাস মিললেও তা মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি। ৮১তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইলমাজ। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস। তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মেমফিস ডিপাই। ম্যাচের ভাগ্য অবশ্য আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়ামও শুভ সূচনা করেছে বাছাইপর্বে। পিছিয়ে পড়েও ‘ই’ গ্রুপে ওয়েলসকে তারা হারিয়েছে ৩-১ গোলে। দশম মিনিটে সফরকারীদের এগিয়ে নেন হ্যারি উইলসন। ২২তম মিনিটে গোল শোধ করেন কেভিন ডি ব্রুইন। ছয় মিনিট পর স্বাগতিকরা লিড পায় থরগান হ্যাজার্ডের লক্ষ্যভেদে। বিরতির পর ৭৩তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে বেলজিয়ামের জয় নিশ্চিত করেন রোমেলু লুকাকু।
Comments