বিজেপির ‘হাইভোল্টেজ প্রচারণা’র পরেও জনমত জরিপে এগিয়ে তৃণমূল
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরেও জনমত জরিপে এখনও এগিয়ে রয়েছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস।
আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হাইভোল্টেজ প্রচারণার পরেও গত ১৫ দিনে জনপ্রিয়তা বেড়েছে তৃণমূলের।
গতকাল টাইমস নাও-এ প্রকাশিত এক জনমত জরিপে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ বিধানসভা আসনের ১৬০টিতে তৃণমূল জয় পেতে পারে।
সিভোটারের ওই জরিপে ১৫ দিন আগে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যে, তৃণমূল ১৫৪টি ও বিজেপি ১০৭টি আসনে জয় পেতে পারে।
তবে গতকাল প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, তৃণমূল ১৬০টি ও বিজেপি ১১২টি আসন পেতে পারে।
মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলেরই সমর্থন বাড়লেও জনমত জরিপে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের সমর্থন কমতে দেখা গেছে। এর আগের জরিপে এই জোট ৩৩টি আসনে জেতার পূর্বাভাস থাকলেও সর্বশেষ জরিপে তা নেমেছে ২২টিতে।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। মমতা ব্যানার্জিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দিল্লি থেকে বিজেপির শীর্ষ নেতারা পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে প্রচারে নেমেছে বিজেপি।
অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও পশ্চিমবঙ্গের তারকাদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। বিজেপিকে ‘সাম্প্রদায়িক দল’ হিসেবে উল্লেখ করে পশ্চিমবঙ্গে তাদের ‘ঠাঁই হবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মমতার দল।
গত মাস পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠ জুড়ে সংযুক্ত মোর্চার সরব উপস্থিতি থাকলেও সম্প্রতি তৃণমূল বা বিজেপির কাছে প্রচারণায় তেমন সুবিধা করতে পারছে না বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ মার্চ। করোনা মহামারির কারণে এবার আট দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। আগামী ২৯ এপ্রিল ভোট গ্রহণ শেষ হবে এবং ফল প্রকাশ করা হবে ২ মে।
Comments