নিহত নেতার মরদেহ নিয়ে আ.লীগের মিছিল, গ্রেপ্তার না হলে হরতালের হুমকি এমপির
চুয়াডাঙ্গায় চিত্রা নদীর অবৈধ বালিঘাটের দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে জাহাঙ্গীর মল্লিক নামে এক নেতাকে। সদর হাসপাতাল থেকে ভ্যানযোগে তার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতাল থেকে ভ্যানযোগে মরদেহ নিয়ে এই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফকরুল আলম খান বলেন, ‘নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের বালি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ ও যুবলীগের একটি অংশের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। লিজবিহীন ঐ বালিমহল থেকে বিভিন্ন গ্রুপ বালি তুলে বিক্রি করত। গতকাল বিকেলে নুরুল্লাহপুর গ্রামের রনজিত মল্লিকের ছেলে ও তিতুদহ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর মল্লিক বালি তুলতে সেখানে যান সাড়ে ৩টার দিকে।’
‘এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান ও তার ১০ থেকে ১১ সহযোগী জাহাঙ্গীরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধোর করে। গুরুতর আহত জাহাঙ্গীরকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান ‘ যোগ করেন ওসি।
হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসানসহ ১১ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বাস ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং বিক্ষোভকারীরা সেখানেই অবস্থান নেন।
প্রতিবাদ সভায় এমপি জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, বিএনপি জামাত থেকে আওয়ামী লীগে আসা গুণ্ডারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আগামী শনিবারের মধ্যে প্রশাসন যদি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরদিন রোববার অর্ধদিবস হরতাল দেওয়া হবে।
দ্য ডেইলি স্টারকে ওসি আবু জিহাদ বলেন, ‘হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
Comments