মুন্সিগঞ্জে সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষ, ছুরিকাঘাতে নিহত ৩

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিস বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইমন হোসেন পাঠান (২৩) ও মাহবুব হোসেন সাকিব (১৯) ঘটনার পর পরই মারা যান। হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান (৪০)।
নিহত ইমনের মরদেহ নিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: স্টার

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিস বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইমন হোসেন পাঠান (২৩) ও মাহবুব হোসেন সাকিব (১৯) ঘটনার পর পরই মারা যান। হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান (৪০)।

বুধবার রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

নিহত ইমন উত্তর ইসলামপুর এলাকার মো. কাসেম পাঠানের ছেলে ও সাকিব একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। নিহত ইমন হরগঙ্গা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা একজন কৃষক। একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া নিহত সাকিবের বাবা একজন অটোরিকশা চালক। মিন্টু গত পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ইমনের মরদেহ বাড়িতে আনার পর স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল করে। নিহতদের বাড়ির আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন আছে। পুলিশের মাইকিং করে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় ইমনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টায় তার মৃত্যুর কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মিন্টু প্রধানের।

পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, নারীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসা করতে মিন্টু প্রধান সালিস বৈঠকটি ডেকেছিলেন। সেখানে সাকিবের মা ও বাবা উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমা চাইতে গেলে সৌরভ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন ইমন, সাকিব ও মিন্টুকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, সালিশে বৈঠকে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী নিয়ে সংঘর্ষ ঘটেছে তা এখনি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

Comments