ঢাবিতে দফায় দফায় ছাত্রলীগের হামলা, সাংবাদিকসহ আহত ১৬

হামলায় আহত প্রথম আলোর ঢাবি প্রতিবেদক আসিফ হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলায় দুই সাংবাদিকসহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিসি চত্বরে বামজোটের মিছিলে হামলা চালায় সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনটি।

এই ঘটনার আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টিএসসিতে বাংলা ট্রিবিউনের আবিদ হাসান রাসেলকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ। আর সন্ধ্যায় ভিসি চত্বরের হামলায় আহত হন প্রথম আলোর প্রতিবেদক আসিফ হাওলাদার। বাম ছাত্রসংগঠনের আহতদের মধ্যে রয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মাহমুদ, সজীব চৌহান, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য রাফিন জয়, ছাত্র ফেডারেশনের দ্বীপা মল্লিক, শাকিল হোসেন, তিয়াস আজাদ। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর।

প্রথম আলোর আসিফ হাওলাদারের মাথা ফেটে গেছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা ট্রিবিউনের আবিদ হাসান রাসেল ডান হাতে রক্ত জমে গেছে। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক আল কাদেরী জয় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।’

বাংলা ট্রিবিউনের ঢাবি প্রতিবেদক আবিদ হাসান রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁশ, লাঠি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে আরও মারধর করা হয়। তারা আমার মুঠোফোন কেড়ে নিয়েছে এবং পরিচয়পত্র ছিঁড়ে ফেলেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত না মন্তব্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণভাবে কমর্সূচি পালন করেছি। শুনেছি ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। হামলায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

12h ago