একাত্তরে আলবদর ক্যাম্পের দলিল উদ্ধারকারী নাট্যশিল্পী মারা গেছেন

বাংলাদেশ বেতারের নাট্যকার আমজাদ আলী মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর রানিবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
আমজাদ আলী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বেতারের নাট্যকার আমজাদ আলী মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর রানিবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জয়ের পর কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর রাজশাহীর বিভাগীয় ক্যাম্প থেকে বহু দলিল উদ্ধারকারীদের একজন ছিলেন আমজাদ আলী।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে আমজাদ আলীর চাচাতো ভাই আহমেদ শফি উদ্দিন জানান, ডায়াবেটিক থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন আমজাদ আলী। দুই সপ্তাহ আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

তিন কন্যা, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন আমজাদ আলী।

সাংবাদিকতা করাকালীন ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বরে আহমেদ শফি উদ্দিন রানিবাজার এলাকার মোহিনী নিকেতনের বাড়িতে স্থাপিত আলবদরের বিভাগীয় ক্যাম্পে অনেক নথিপত্র দেখতে পান। সেসময় ক্যাম্পটি পরিত্যক্ত ছিল। পরের দিন আমজাদ আলীকে ক্যাম্পে নিয়ে যান শফি উদ্দিন।

আমজাদ বাড়ির কূপের নিচে নেমে এক ব্যাগভর্তি নথিপত্র বের করে আনেন। যার মধ্যে আলবদর নেতাদের প্রায় দুই হাজার পৃষ্ঠার নথি ছিল।

একটি নথিতে দেখা গেছে, আলবদর তখন এতটা নির্মম ছিল যে তারা তাদের সদস্যদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে তাদের নিকটতম আত্মীয়দেরও রেহাই না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

আলবদর একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মিলিশিয়া বাহিনী ছিল।

অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতার জন্য এসএসসির পরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি আমজাদ আলী। তিনি ষাটের দশকের শেষদিকে পাকিস্তান রেডিওতে অনুলিপি লেখক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। এরপরে তিনি নাটক লেখা শুরু করেন। তিনি অনেক বেতার নাটক প্রযোজনা করেছেন এবং অভিনয় করেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, আজ জুমার নামাজ শেষে রানিবাজার জামে মসজিদে আমজাদ আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে হাতেম খান-কাদিরগঞ্জ কবরস্থানে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন:

যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের ভয়ঙ্কর আলবদর গঠনের প্রামাণ্য দলিল

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago