ভারতকে হেসেখেলেই হারাল ইংল্যান্ড
লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। ৩৬৭ রানের। এমন লক্ষ্যে প্রয়োজন ছিল উড়ন্ত সূচনা। দুই ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো তাই এনে দিলেন। এরপর তিন নম্বরে নেমে বেন স্টোকসের ঝড়। তাতে বড় লক্ষ্য হয়ে গেল মামুলী। ৩৯ বল হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনলো সফরকারী দলটি।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৬ রান করে ভারত। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
লক্ষ্য তাড়ায় এদিন ওপেনিং জুটিতেই ১১০ রান করেন দুই ওপেনার জেসন ও বেয়ারস্টো। এরপর জেসন ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে স্টোকসকে নিয়ে ১৭৫ রানের জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। তাতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর পিছু তাকাতে হয়নি দলটিকে। হেসেখেলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও এদিন ঠিকই তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বেয়ারস্টো। খেলেছেন ১২৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১১২ বলের ইনিংসটি সাজান ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায়। তবে বেয়ারস্টো পারলেও হতাশ হন স্টোকস। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থামে তার ইনিংস। ভুবনেশ্বর কুমারের লেগ সাইডে রাখা বলে পুল করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষণ রিশাভ পান্তের হাতে। তবে এর আগেই কাজের কাজটি করে গেছেন তিনি। মাত্র ৫২ বলে খেলেছেন ৯৯ রানের ইনিংস। ৪টি চার ও ১০টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ভারতের পক্ষে ৫৮ রানের খরচায় ২টি উইকেট নিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা।
এর আগে টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভারত। দলীয় ৩৭ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তবে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেন লোকেশ রাহুল। এরপর অধিনায়ক ফিরে গেলে রিশাভ পান্তকে নিয়ে ১১৩ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন তিনি। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় দলটি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন রাহুল। ১১৪ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪০ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন পান্ত। ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অধিনায়ক কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রিস টপলি ও টম কারান।
Comments