প্রেসক্লারের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কয়েকজন আটক

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
PressClub.jpg
প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একজনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: স্টার

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও যুব পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, গত ২৫ মার্চ মোদিবিরোধী সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় ‘ভাসানীর চেতনায় প্রগতিশীল-দেশপ্রেমিক শক্তি’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে কয়েকজনকে আটক করে গাড়িতে তুলে পুলিশ। এতে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হয়ে শেষ যায়।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রীয় মেহমান আছেন। রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে তারা কোনো অস্থিতিশীল বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোনো কার্যক্রম না নেন। আজ আমরা মূলত তাদেরকে সেটাই বলেছি। আজকের দিনে অন্তত তারা যেন কোনো রকমের উশৃঙ্খল আচরণ অথবা কোনো নাশকতামূলক কার্যক্রম না করেন, সেটাই তাদেরকে বলা হয়েছে। তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়নি।’

‘তাদেরকে জানানো হয়েছে যে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করবেন এবং শেষ করে চলে যাবেন। যেহেতু আজকে তারা এসে গেছেন, আমরা অত্যন্ত ধৈর্য ধরেছি এবং তাদের প্রোগ্রাম শেষ করা পর্যন্ত সময় দিয়েছি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রোগ্রাম শেষ করে চলে গেছেন’, যোগ করেন তিনি।

বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলো কেন?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘এখান থেকে কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করিনি। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গতদিনের মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাদেরকে নেওয়া হয়েছে। সেটি যাচাই-বাছাই করে তারা যদি আসামি না হন, সাধারণ মানুষ হন, সে দুই-তিন জনকে আমরা ছেড়ে দেব।’

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

1h ago