পাইকগাছায় পোস্টার টানানো নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পোস্টার টানানোকে কেন্দ্র করে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহত ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী এসএম এনামুল হকসহ তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। এসএম এনামুল হক বর্তমানে খুলনার সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের বেতবুনিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু, ব্যর্থ হওয়ায় ১০টি ফাঁকা গুলি করা হয়। ওই ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি মোটরসাইকেল ও বেশ কিছু লাঠিসোটা জব্দ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ আজিজ হাসান বলেন, ‘গুরুতর আহত তিনজনকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর বাড়ি বেতবুনিয়া গ্রামে। সেখানে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী এনামুল হকের নির্বাচনী কার্যালয় আছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেল নিয়ে এনামুল হক ওই নির্বাচনী কার্যালয়ে যান। এ সময় তার উপস্থিতিতে আনারস প্রতীকের নির্বাচনী পোস্টার টানাতে গেলে নৌকার সমর্থকরা বাঁধা দেন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
তবে, এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজীর মন্তব্য জানতে কয়েকবার ফোন করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Comments