ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় মামলা ৩, আসামি ৬৫০০

হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। পৃথক এ তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত সাড়ে ছয় হাজার জনকে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি। ছবি: স্টার

হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। পৃথক এ তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত সাড়ে ছয় হাজার জনকে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাগুলো দায়ের করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দুটি ও শহরের মেড্ডা এলাকায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানাধীন দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অপরাধে থানায় কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়।’

‘একই দিনে শহরের মেড্ডা এলাকায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোসলেহ উদ্দিন বাবলু বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ,’ যোগ করেন তিনি।

তবে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে কি না তা জানায়নি পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি বলেন, ‘আজ বিকেল ৩টার দিকে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে।’

ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মামলা করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং চট্টগ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।

বিকাল ৪টার দিকে কয়েকশ শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সার্কিট হাউস, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, ডিসি, এসপি ও জেলা জজের বাসভবন, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও সদর থানাধীন দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি এবং জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

বিক্ষুব্ধরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফাঁড়িতে থাকা ১৮টি মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া সিভিল সার্জন ও মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে থাকা দুটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ, রেলস্টেশন ভাঙচুর

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago