হাটহাজারীতে দফায়-দফায় বৈঠক, মরদেহ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গতকালের হেফাজত ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের চার জনের মরদেহ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে হেফাজত ইসলাম ও স্থানীয় প্রশাসন। আজ সকালে, দুপুরে ও বিকেলে হাটহাজারী মডেল থানায় এসব বৈঠক থেকে দুই পক্ষ সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
প্রশাসন চাইছে মরদেহের ময়না তদন্ত করে তাদের পরিবারের হাতে হস্তান্তর করতে। আর, হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও হেফাজতে ইসলাম চাইছে মরদেহ মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে। মরদেহগুলো আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে।
বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের পক্ষে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রাশিদুল হক ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব নাসিরুদ্দিন মনির। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা মিটিং করছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। শিক্ষার্থীরা চাইছে মরদেহ মাদ্রাসায় নিয়ে যেতে। তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।’
কিন্তু পুলিশ মরদেহ দিতে চাইছে না বলে জানান তিনি।
এরপর, দুপুর ১টায় এবং সর্বশেষ বিকেল পৌনে ৩টার দিকে দুই দফা বৈঠক হয়। এই দুই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির আশরাফ আলী নিজামপুরি ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মির ইদ্রিস।
বৈঠক শেষে তাদের পক্ষ থেকে হাটহাজারী পৌর হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে যাওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।’
হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাঁচ দফা দাবিতে তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।
তাদের দাবির মধ্যে আছে--গতকালের নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই মাদ্রাসায় হস্তান্তর, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার ও হাটাহাজারী থানার ওসিকে প্রত্যাহার, হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না দেওয়া।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, হাটহাজারী মাদ্রাসাছাত্ররা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে ইট-সিমেন্টের দেয়াল তুলে ব্যারিকেড দিয়েছেন। গতকাল রাত থেকেই এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে হাটহাজারী থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।
Comments