নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের বিক্ষোভ

সমাবেশস্থল চারদিক থেকে ঘিরে রাখে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে হামলা ও হতাহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজত নেতারা।

আজ শনিবার দুপুরে শহরের ডিআইটি রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বিক্ষোভ শেষে মিছিল করার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মসজিদের সামনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ ও সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশস্থল চারদিক থেকে ঘিরে রাখে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতের আমীর ও কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আবদুল আউয়াল বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি পুলিশ বাহিনী ও ছাত্রলীগের লোকজনদের বিচার না করেন, তাহলে একদিন এর বিচার হবেই। তাদের রক্তের বদলা নেওয়া হবে। পুলিশদের বলবো, অস্ত্র হাতে আমাদের গুলি করবেন না। অস্ত্র ছাড়া আসেন, দেখেন মুসলমানদের কত শক্তি। আপনারা পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোববার আমাদের হরতাল। শান্তিপূর্ণভাবেই হরতাল পালন করা হবে। আমরা আমাদের দ্বীন কায়েমের জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিব।’

পরবর্তীতে নেতারা মাইকে ঘোষণা দেন, রোববার হরতাল সমর্থন করে যেন স্বেচ্ছায় দোকান ও যানবাহন বন্ধ রাখেন সবাই। হরতাল কর্মসূচি পালনে সমবেত হতে নেতাকর্মীদের ফজরের নামাজ ডিআইটি মসজিদে আদায় করার জন্য আহবান জানানো হয়।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মানুষের জানমালের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কেউ যেন করতে না পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’

হরতালের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যারা হরতাল ডেকেছে তারা যদি মনে করে এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার, তাহলে সেটা তাদের বিষয়। মানুষের অধিকার আছে দোকানপাট খোলা রাখার। জনজীবন সচল রাখার অধিকার আছে জনগণের। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Rally begins near Jamuna demanding ban on Awami League

The demonstration follows a sit-in that began around 10:00pm last night in front of the Chief Adviser's residence

49m ago