ব্যাটসম্যানদেরই দায় দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ

ব্যাটিং স্বর্গে হারের দায়টা তাই কেবলই ব্যাটসম্যানদের।
afif hossain
একমাত্র হেসেছে আফিফ হোসেনের ব্যাট। ছবি: আইসিসি টুইট

লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। একজন ছাড়া সব বোলারই বেদম মার খেয়েছেন। তবে মাঠ আর উইকেটের বিবেচনায় বোলারদের খুব একটা দায় দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং স্বর্গে হারের দায়টা তাই কেবলই ব্যাটসম্যানদের।

হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের মাঠ আকারে বেশ ছোট। এদিন উইকেটও ছিল বেশ ভালো। এমন উইকেটে আগে ব্যাট করে ২১০ রান করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। যা টপকাতে গিয়ে কখনই ম্যাচে ছিল না বাংলাদেশ। ১৪৪ রানে থেমে ম্যাচ হেরেছে ৬৬ রানে।

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে ৫৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় মাহমুদউল্লাহদের। যা থেকে পরে দেড়শোর কাছে নিয়ে যাওয়ার বড় কৃতিত্ব ৩৩ বলে ৪৫ করা আফিফ হোসেনের।

ম্যাচ শেষে অধিনায়কের কাঠগড়ায় তাই ব্যাটসম্যানরা,  ‘বোলাররা ভাল বল করেছে, অভিষেকে নাসুম আহমেদ দারুণ বল করেছে। কিন্তু আবারও আমাদের ব্যাটিং ডুবিয়েছে, দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি।  দ্বিতীয় ম্যাচ এখান থেকে ফিরতে হবে।’

‘এখানে ১৯০ তাড়া করার মতো রান হতো। আমরা হয়তবা কিছু বাউন্ডারি বেশি দিয়েছি।’

বল হাতে পেয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছিলেন নাসুম। শুরুটা তাই ছিল দারুণ। কিন্তু ডেভন কনওয়ে ৫২ বলে ৯২ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন, তাকে থামানোর উপায়ের খোঁজে মাহমুদউল্লাহ,  ‘সে (কনওয়ে) খুব টাচে আছে। খুব ভাল ব্যাট করছে। তাকে আটকানোর একটা উপায় বের করা দরকার আমাদের।’

ব্যাটিংয়ে কনওয়ের পর বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ডুবান ইশ সোধি। দুই ওভারে নেন জোড়া উইকেট। ২৮ রানে পান ৪ উইকেট। মাহমুদউল্লাহর মতে অভিজ্ঞতাই কাজে লেগেছে এই লেগ স্পিনারের,   ‘ইশ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সে কন্ডিশন কাজে লাগিয়েছে, বল কিছুটা গ্রিপ করেছে। আমরা এক ভুল বারবার করতে পারি না।’

৩০ মার্চ নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নামবে দুদল।

Comments