রোজার ঈদের পর আমরা স্কুল-কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব: প্রধানমন্ত্রী

PM.jpg
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা স্কুল কলেজগুলো খুলে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এখন নয়, রোজার ঈদের পর আমরা স্কুল-কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব।

তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ফেসমাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে দেশবাসীর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধির বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করব মাস্ক ছাড়া কেউ যাতে বাইরে না যায়, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে এবং প্রত্যেকটি সভা বা সিম্পোজিয়াম, সেমিনার বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। ঘরের মধ্যে করলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বেশি দেখা দেয়।’

এসময় ভ্যাকসিন প্রদানও চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার বিকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভনিউয়স্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশে একটি মানুষও আর গৃহহীন থাকবে না, তার সরকার সবাইকে ঘর করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি, যেগুলো বাকী আছে সেগুলোও করে দেব, শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে শতভাগ গৃহকে আমরা আলোকিত করব।’

তিনি স্কুল-কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা স্কুল কলেজগুলো খুলে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন হঠাৎ করে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে আমরা এখন নয়, রোজার ঈদের পর আমরা স্কুল-কলেজ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব।’

আর এই ফাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসবের মেরামত লাগবে, সেসব কাজ ইত্যবসরে তার সরকার করে দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের কাজগুলো চলতে থাকবে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সে প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি গত বছর মানুষের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সামনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যা করার করব। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও মানুষের পাশে থাকতে হবে। যে দল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের ওপর অনেক দায়িত্ব। মানুষের জন্য খাদ্য বিতরণ, মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় প্রারম্ভিক ভাষণ দেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কোচি ও হুমায়ুন কবির বক্তৃতা করেন।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদসহ সব গণআন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারীদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Aid allocation to be trimmed in next budget

The plan comes as $42.85b foreign funds remained unused at start of current FY

15h ago