‘ভেরি ডিফিকাল্ট ফোন কল’
গতকাল রোববার প্রচারিত হওয়া সিএনএন’র এক প্রামাণ্যচিত্রে হোয়াইট হাউসের সাবেক করোনাভাইরাস রেসপন্স কো-অর্ডিনেটর ডেবোরাহ বার্ক্স তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘ভেরি ডিফিকাল্ট’ ফোনালাপের কথা জানিয়েছেন।
‘কোভিড ওয়ার: দ্য প্যানডেমিক ডক্টরস স্পিক আউট’ প্রামাণ্যচিত্রে বার্ক্স জানিয়েছেন, গত বছরের আগস্টে সিএনএন’র সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পর হোয়াইট হাউস তার বিপক্ষে চলে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। সেটি খুবই অস্বস্তিকর ছিল। তার কথাগুলো শোনাটাও কষ্টকর ছিল।’
ফোন কলে ট্রাম্প তাকে কোন হুমকি দিয়েছিলেন কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে বার্ক্স বলেন, ‘পুরো কথোপকথনটি অস্বস্তিকর ছিল।’
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে বারবার নিজের মেডিকেল কর্মকর্তাদের সতর্কতামূলক বক্তব্যকে খণ্ডন করেছেন এবং মহামারিকে কম গুরুত্ব দিয়ে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক পরায় অনুপ্রাণিত করার মতো বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন।
গত আগস্টে বার্ক্স সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারির নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং পরিস্থিতি গত বছরের মার্চ ও এপ্রিলের চেয়ে আলাদা। এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’
ট্রাম্পের বক্তব্যে ছিল ভিন্ন সুর। তিনি বারবার নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ টেনে দাবি করছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে তূলনামূলকভাবে সফল। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেসময়ে নিউজিল্যান্ডে এক হাজার ৩০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের।
অপরদিকে, একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ ৭৩ হাজার ১১৪ জন করোনায় মারা গিয়েছিলেন এবং মোট আক্রান্ত ছিলেন ৫৫ লাখ ২৭ হাজার ৩০৬জন।
ট্রাম্পের ফোন দেওয়ার কথা জানানোর পাশাপাশি বার্ক্স আরও বলেছেন যে ‘প্রথম ওয়েভ থেকে নেওয়া শিক্ষাগুলো আমরা পরবর্তীতে কাজে লাগাতে পারলে করোনায় মৃতদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা যেত। আমি বিষয়টাকে এভাবে দেখছি। প্রথম ওয়েভের সময় আমাদের কাছে অজ্ঞানতার অজুহাত ছিল। সেবার প্রায় এক লাখ মানুষ প্রাণ হারালেন। এরপর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে মৃত্যুর হারকে কমিয়ে আনা যেত।’
Comments