নতুন আইনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রের প্রতিনিধির

অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ গতকাল রোববার একটি বিতর্কিত বিল সই করেছেন এবং সেটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে রূপান্তরিত হয়েছে।

এই বিলটিকে দেখা হচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের জন্য বড় একটি ধাক্কা হিসেবে।

২০১৩ সালে রাজধানী শহরের ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে লড়াই চলছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের।

নতুন এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দিল্লীর লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের চেয়ে বেশি ক্ষমতা চলে এসেছে। কবে থেকে আইনটি কার্যকর হবে তা জানাবে ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যসভায় গত বুধবারে এই বিলটি পাশ হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস ও দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টিসহ আরও বেশ কিছু বিরোধী দলের সদস্য ওয়াকআউট করে এর প্রতিবাদ জানান।

নতুন এই বিল অনুযায়ী দিল্লির ‘সরকার’ বলতে কার্যত লেফট্যানেন্ট গভর্নরকেই বোঝানো হচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তার মতামতকে দিল্লির স্থানীয় সরকারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

দিল্লির রাজ্যসভায় দুদিন ধরে বিলটি নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়েছে। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বারবার বলেছেন, এটি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে।

তারা দাবি জানান, বিলটিকে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য। কিন্তু কণ্ঠ ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়। ৮৩ জন সদস্য এর পক্ষে ছিলেন এবং বিপক্ষে ছিলেন ৪৫ জন।

আম আদমি পার্টি বারবার অভিযোগ এনেছে যে বিজেপি কৌশলে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের মাধ্যমে দিল্লি সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।

কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল, শিবসেনা, অন্ধ্র প্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং আকালি দলসহ বেশিরভাগ বিরোধী দলই এই বিল পাশের প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেছে।

আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, এই বিলটি জনমানুষ মেনে নেবে না এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসবে। ঠিক তেমন প্রতিবাদ যেমনটি এসেছিল কৃষকদের কাছ থেকে।

দলটি আরও জানিয়েছে, বিলটি আনার পেছনের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কৃষক আন্দোলনে কেজরিওয়ালের সমর্থন। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday ordered the authorities concerned to complete, by December, the preparations for the upcoming national election.

4h ago