আগুন নেভাতে গিয়ে পাওয়া গেল ৬ লাখ ইয়াবা

Moheshkhali-1.jpg

বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ মহেশখালীতে একটি গাড়ির গ্যারেজে আগুন নেভাতে গিয়ে ৬ লাখ ২২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মহেশখালীতে এটিই সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান উদ্ধারের ঘটনা।

পুলিশ জানায়, রোববার দিবাগত রাতে মহেশখালীর সিকদারপাড়ার সালাহ উদ্দিনের গ্যারেজ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার ও জব্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

এলাকাবাসী জানায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্নকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই প্রেস ব্রিফিং করে জানান, সোমবার দিনের প্রথম প্রহর রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় যায়। পুলিশ গাড়ির গ্যারেজে আগুন জ্বলতে দেখে দ্রুত মহেশখালি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের মহেশখালী স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন। আগুনের ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে একটি প্রায় পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিগত গাড়ির পেছনে মালামাল রাখার জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পায় পুলিশ। আধপোড়া অবস্থায় ২ লাখ ২০ হাজার ও অক্ষত অবস্থায় ৪ লাখ ২ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। ওই গ্যারেজ থেকে প্রায় পুড়ে যাওয়া ওই গাড়িটিসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। রাত ২টায় শুরু হওয়া এই অভিযান শেষ হয় সকাল ৮টায়।

সিকদারপাড়ার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১টার দিকে গ্রামে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয় জন লোক মহেশখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র মকসুদ মিয়ার সমর্থকদের উপর গুলি চালায়। এ সময় আহত হন তিন জন। এই ঘটনার পর পরই মকসুদ মিয়ার অনুসারীরা জড়ো হয়ে সালাহ উদ্দীনের গাড়ির গ্যারেজে আগুন দেয়। সালাহ উদ্দীন ও মকসুদ মিয়া পরস্পর চাচাতো ভাই। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। মকসুদ মিয়া আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য মহেশখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী।

মহেশখালী ও কুতুবদিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মহেশখালীতে এটিই সবচেয়ে বড় ইয়াবার চালান উদ্ধারের ঘটনা। ইয়াবা চোরাচালানের মূল হোতা সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা আছে।

উল্লেখ্য, মকসুদ মিয়ার বড় ছেলে মিরাজ উদ্দীন নিশানসহ ছয় জনকে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট দুই লাখ সাত হাজার ইয়াবাসহ ঢাকায় এলিফ্যান্ট রোডের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করেছিলো র‍্যাব।

Comments

The Daily Star  | English

Multiple blasts heard in Tehran, black smoke visible in east: AFP

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

20h ago