বিকেএসপিতে বোলারদের দাপট, গাজীর ছয় উইকেট
দুই স্পিনার সানজামুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম ঘূর্ণির মায়াজাল বেছালেন। সঙ্গে তোপ দাগালেন মোহর শেখ অন্তরও। তাতে একশর আগেই অলআউট হয়ে যায় বরিশাল বিভাগ। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে স্বস্তি পায়নি রাজশাহী বিভাগও। সোহাগ গাজীর ঘূর্ণিতে পড়ে তারাও গুটিয়ে যায় দেড়শ পার হতেই। এক দিনেই পড়েছে ২১ উইকেট।
সোমবার সাভারের বিকেএসপিতে দ্বিতীয় টায়ারের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয় বরিশাল। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫১ রানে অলআউট হয় রাজশাহীও। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রান তুলতেই ১ উইকেট হারিয়েছে বরিশাল। ফলে লো স্কোরিং এ ম্যাচে প্রথম দিন শেষে ৪৬ রানে এগিয়ে আছে রাজশাহী।
টস হেরে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দেয় বরিশাল। তাদের শিবিরে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা দেন মোহর। ওপেনার সৈকত আলীর পর অধিনায়ক ফজলে মাহমুদকেও তুলে নেন তিনি। এরপর শুরু হয় দুই স্পিনারের মায়াজাল। বাকী আট উইকেট ভাগাভাগি করে নেন তারা। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি।
দলের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। তাও সর্বোচ্চ ইনিংসটি সাত নম্বরে নামা মইন খানের। করেছেন ১৮ রান।
রাজশাহীর পক্ষে মাত্র ১৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন সানজামুল। ৩৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট পান তাইজুলও। বাকী দুটি শিকার মোহোরের।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি রাজশাহী। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি ৫১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই গাজীর ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে নবম উইকেটে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে জুনায়েদ সিদ্দিকির ৬২ রানের জুটিতে লিড পায় রাজশাহী। এছাড়া বলার মতো আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন জুনায়েদ। ৯৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া তাইজুল ৩৭ ও তানজিদ ৩৬ রান করেন।
বরিশালের পক্ষে ৬৫ রানের খরচায় একাই ছয়টি উইকেট পান সোহাগ গাজি।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাইজুলের বলে ব্যক্তিগত ৪ রানেই ফিরে গেছেন সৈকত আলী। তবে দ্বিতীয় উইকেটে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে ১৭ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন আরেক ওপেনার মইনুল ইসলাম।
Comments