ফাইনালে নেপালের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
![nepal bangladesh nepal bangladesh](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/nepal_bangladesh_1.jpg?itok=VbZywobV×tamp=1617027139)
রক্ষণভাগের দুর্বলতায় শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেপাল এগিয়ে গেল দুই গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষরক্ষা হলো না জেমি ডের শিষ্যদের। ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে হেরে ভেঙে গেল তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন।
কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বিরতির আগে আয়োজকদের হয়ে একটি করে গোল করেন সংযোগ রায় ও বিশাল রায়। বিরতির পর বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান কমান মাহবুবুর রহমান সুফিল।
সবশেষ ২০০৩ সালে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তাদের সামনে ছিল দীর্ঘ দেড় যুগের শিরোপা খরা ঘোচানোর সুযোগ। কিন্তু বিবর্ণ পারফরম্যান্সে অপেক্ষা আরও বাড়ল।
ম্যাচের শুরুর দিকে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে নেপাল। ১২তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে একটি ক্রস ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি ত্রিদেব গুরাং। পরে বল বিপমুক্ত করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফি। পাঁচ মিনিট পর নেপালের দারুণ একটি সুযোগ কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
তবে কর্নার থেকে পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। রাকিব হোসেন বল পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। ফিরতি শটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল জালে পাঠান অরক্ষিত সংযোগ। ২৮তম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া কর্নারে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারেননি কেউ।
![nepal bangladesh nepal bangladesh](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/nepal_bangladesh.jpg?itok=czN1H6pm×tamp=1617028050)
রাফির ভুলে ৩০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত নেপাল। আলগা বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন অঞ্জন বিস্তা। জিকো গোলপোস্ট ছেড়ে এগিয়ে আসায় তার মাথার উপর দিয়ে চিপ করেন এই ফরোয়ার্ড। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের একটু উপর দিয়ে।
সমতায় ফিরতে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। ৩৬তম মিনিটে জামালের ফ্রি-কিকে মেহেদী হাসানের হেড পোস্টের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। উল্টো পাঁচ মিনিট পর আরেক গোল হজম করে বাংলাদেশ। রণজিত ধিমালের কাছ থেকে বল পেয়ে সংযোগ বল বাড়ান বিশালকে। বাকিটা নিখুঁতভাবে সারেন এই মিডফিল্ডার।
মরিয়া হয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তিনটি পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ। সুমন রেজা, রিমন হোসেন ও মেহেদী হাসান রয়েলের জায়গায় যথাক্রমে টুটুল হোসেন বাদশা, ইয়াসিন আরাফাত ও মাহবুবুর রহমান সুফিলকে নামান তিনি। এতে কিছুটা হলেও ছন্দ ফেরে বাংলাদেশের খেলায়।
৬৭তম মিনিটে ইয়াসিনের দূরপাল্লার শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। চাপ ধরে রেখে ৮২তম গোল আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। জামালের কর্নারে হেড করে সুফিল ভেদ করেন নিশানা। আসরে এটাই বাংলাদেশের প্রথম গোল। লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে কিরগিজস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে হারিয়েছিল তারা। নেপালের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচটি হয়েছিল গোলশূন্য ড্র।
সমতায় ফেরার উপলক্ষ পেলেও বাকি সময়টাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। নেপালের সঙ্গে শেষ চার ম্যাচে এটি বাংলাদেশের প্রথম হার। সেটাই এলো শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে!
Comments