গাজীপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ

BNP.jpg
সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ জয়ের মাথায় গুলি লেগেছে। ছবি: স্টার

গাজীপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ আট রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে। এসময় সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাজু আহমেদ জয়ের মাথায় গুলি লেগেছে।

আজ সোমবার বিকালে মহানগরের দক্ষিণ ছায়াবীথি চক্কর মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ দলের আরও ছয়-সাত জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথি চক্কর মোড় এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পথচারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে এবং ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। এসময় পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়লে ছাত্রদল নেতা রাজু আহমেদ জয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন।

তিনি আরও জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনায় যুবদল নেতা সাইদুল মাহমুদ, টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত রশিদ, গাজীপুর মহানগর সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবসহ আরও অন্তত ছয়-সাত জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। এসময় পুলিশ বাঁধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ আট রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

4h ago