ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানছেন অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট

Kraigg Brathwaite
ছবি: আইসিসি টুইট

ওপেন করতে নেমে পুরো দিনই ব্যাট করলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। সুরাঙ্গা লাকমালদের তোপে আরেক প্রান্তে আসা-যাওয়ার মধ্যে হাসল তার ব্যাট। চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় টিকে থাকার দিকেই মন ছিল বেশি, তাই পুরো দিন ব্যাট করেও সেঞ্চুরি করতে এখনো এক রানের অপেক্ষা তার। 

অ্যান্টিগায় দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ৭ উইকেটে ২৮৭ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ব্র্যাথওয়েট। রাহকিম কর্নওয়াল খেলছেন ৪৩ রানে।

৭ উইকেট হারিয়ে ফেললেও স্বাগতিকরা তৃপ্ত থাকতেই পারে। কারণ দুশো রানের আগেই তারা হারিয়ে ফেলেছিল ৬ উইকেট। লঙ্কান ফিল্ডারদের হাত গলে কিছু ক্যাচ না ফসকে বের হলে আরও করুণ অবস্থাও হতে পারত।

পেস বোলারদের জন্য সহায়ক কন্ডিশনে টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। সপ্তম ওভারেই জন ক্যাম্পবেলকে তুলে নেন লাকমাল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এনক্রুমা বোনার এদিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। লাকমালের বলে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে যান তিনি।

এরপর কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন ব্র্যাথওয়েট। দুজনের জুটিতে আসে ৭১ রান। ফিফটির এক রান আগে লাঞ্চ থেকে ফিরেই আউট হয়ে যান তিনি। রান না পেয়ে অস্থির হয়ে উঠা জার্মেইন ব্ল্যাকউড নেমেছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। দুবার স্লিপে ক্যাচ দিয়েও পার পেয়ে যান।

কিন্তু থিতু হয়েও পেরে উঠেননি। ১৮ রান করে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। জেসন হোল্ডার এসেও খেলতে থাকেন একইভাবে। ৫১ রানের জুটির পর ৩৪ বলে ৩০ করে তিনি ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে। কিপার ব্যাটসম্যান জশুয়া ডা সিলভাকে ছাঁটেন দুশমন্ত চামিরা।

১৮৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর আলজেরি জোসেফের সঙ্গে ৩৬ রানের আরেক জুটি হয় ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের। অলরাউন্ডার জোসেফই করেন রান আনার কাজ। লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার স্পিনে আউট হওয়ার আগে করে যান ২৯ রান।

এরপর বাকিটা টেনেছেন কর্নওয়াল-ব্র্যাথয়েট। ৮ম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬৫ রান তুলেছেন তারা। ২৩৯ বল খেলে ১১ চারে ৯৯ রানে আছেন ব্র্যাথওয়েট। এই পথে টেস্টে স্পর্শ করেছেন ৪ হাজার রানের মাইলফলক। ৫৪ বলেই ৪৩ করে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে খেলছেন রাহকিম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস : ৮৬ ওভারে ২৮৭/৭ (ব্র্যাথওয়েট ৯৯, ক্যাম্পবেল ৫, বনার ০, মেয়ার্স ৪৯, ব্ল্যাকউড ১৮, হোল্ডার ৩০, জশুয়া ১, জোসেফ ২৯, কর্নওয়াল ৪৩*; লাকমল ৩/৭১, বিশ্ব ১/৫৯, চামিরা ১/৭৯, এম্বুলদেনিয়া ১/৫৬, ধনাঞ্জয়া ১/১৬)।

Comments