ছাত্র অধিকারের ২ নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. নাজমুস সাকিবকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা এবং একই সংগঠনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলামকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাজমুস সাকিব (বামে) ও মাজহারুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক থেকে

ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. নাজমুস সাকিবকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা এবং একই সংগঠনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলামকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ খান বলেন, ‘নাজমুস সাকিবকে গত ২৭ মার্চ দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তার সিলেটের শিবগঞ্জস্থ বাসা থেকে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে তার পরিবারের সদস্যরা শাহপরান থানায় গেলে জানানো হয় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে জানানো হয় তাকে ডিবির ঢাকার মতিঝিল জোনের ইন্সপেক্টর কামরুলের অধীনে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে আমাদের লোকজন মতিঝিল থানায় গেলে সেখানে সাকিব নামে কাউকে আনা হয়নি বলে জানানো হয়। ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নিলে তারাও জানায়, এ নামের কাউকে আনা হয়নি।’

‘গত ২৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাজহারুল ইসলামকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও আমাদের কাছে আছে। কিন্তু, পরে খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছে’, বলেন তিনি।

রাশেদ আরও বলেন, ‘সাকিবকে আটকের ৪৮ ঘণ্টা ও মাজহারুলকে আটকের ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করছে না। এখনো তাদেরকে আদালতেও হাজির করা হয়নি।’

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ডিবির একটি দল এসে ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। স্থানীয় পুলিশ শুধু ডিবিকে সহায়তা করেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের ওই দুই নেতার একজন ঢাকার, আরেকজন রাজশাহীর। যেকোনো কারণে হোক তারা সিলেটে ছিলেন। এ বিষয়ে আমরা আর বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। ঢাকার ডিবি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবে।’

ডিবির মতিঝিল জোনের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাজধানীর পল্টনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা একটি মামলায় মাজহারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু, নাজমুস সাকিবের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।’

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrant workers in gulf countries

Can we break the cycle of migrant exploitation?

There has been a silent consensus on turning a blind eye to rights abuses of our migrant workers.

7h ago