ইউপি নির্বাচন: দুমকির ৭ ও গলাচিপার ৪ বিদ্রোহী প্রার্থীকে আ. লীগ থেকে বহিষ্কার
পটুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুমকি উপজেলার তিন ইউনিয়নের সাত জন ও গলাচিপা উপজেলার চার ইউনিয়নের চার জনসহ চেয়ারম্যান পদের ১১ বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দুমকিতে সোমবার রাতে ও গলাচিপায় রবিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল এসব ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।
দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন--দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পাংগাশিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদার, পাংগাশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর সিকদার, পাংগাশিয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সদস্য ফরিদুল ইসলাম, দুমকি উপজেলা যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মুরাদিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আকলিমা আক্তার আঁখি, মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, দুমকি উপজেলা যুবলীগ সদস্য আনোয়ারুজ্জামান ইমরোজ এবং আংগারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আংগারিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম শাহ আলম।
গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে গলাচিপা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তারা হলেন--উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমখোলা ইউনিয়নে আনোয়ার হোসেন মৃধা, আমখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলখালী ইউনিয়নের গোলাম গাউস তালুকদার নিপু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রতনদী তালতলী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান।
যোগাযোগ করা হলে বহিষ্কৃত রতনদী তালতলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান বলেন, 'তৃণমূলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থী বাছাই করা হয়নি। তাই আমি তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। আশা করি নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে আমি বিজয়ী হব।'
Comments