বোলিং ঘূর্ণির পর সেঞ্চুরির পথে শুভাগত
জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহই তুলে নিয়েছে সিলেট বিভাগ। তবে হতে পারতো আরও বড়। বল হাতে ঘূর্ণি দেখিয়ে তা আটকেছেন শুভাগত হোক। এরপর ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠেছেন তিনি। তার ব্যাটে চড়েই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিভাগ। নিজেও এগিয়ে যাচ্ছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দিকে।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে প্রথম টায়ারের ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করে দিন শেষ করেছে ঢাকা। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৭০ রানে অলআউট হয় সিলেট বিভাগ।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতে স্বস্তিতে ছিল না ঢাকা। খালি হাতে মাঠ ছাড়েন ওপেনার ওপেনার আব্দুল মজিদ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার জয়রাজ শেখের সঙ্গে সাইফ হাসানের ৮২ রানের জুটিতে শুরু ধাক্কা সামলে নেয় দলটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬ রান যোগ করতে ৪ জন ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরীকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শুভাগত। গড়েন ৯৭ রানের জুটি। এরপর অধিনায়ক বিদায় নিলে আরাফাত সানি জুনিয়রকে নিয়ে আরও একটি জুটি গড়েন শুভাগত। অবিচ্ছিন্ন ৬৯ রানের জুটিতে সিলেটকে ভালো জবা দিচ্ছেন এ ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৯৫ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত আছেন শুভাগত। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান সানি খেলছেন ৩৪ রান নিয়ে। এছাড়া জয়রাজ ৪২ ও সাইফ ৪১ রান করেন।
সিলেটের পক্ষে ৬৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাহাতুল ফেরদৌস। ২টি শিকার তানজিম হাসান সাকিবের।
এর আগে প্রথম দিনের ৬ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা সিলেট বিভাগ এদিন শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে আরও ৮৮ রান যোগ করতে পেরেছে। মূলত আসাদুল্লা আল গালিবের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সংগ্রহটা বড় করতে পারে দলটি। শেষ দিকে ছোট ছোট জুটিতে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৬৭ রানের ইনিংস। ১৪০ বলের ইনিংসটি ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান এ ব্যাটসম্যান। রাহির ব্যাট থেকে আসে কার্যকরী ১৯ রান।
ঢাকা বিভাগের পক্ষে ৮৬ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পেয়েছেন শুভাগত হোম। সুমন খান ও তাইবুর রহমানের শিকার ২টি করে।
Comments