পাবনায় ইছামতি নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও উন্নয়ন কাজ শুরু
পাবনায় ইছামতি নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও নদীপার উন্নয়নের কাজ নির্ধারিত সময়েই আজ থেকে শুরু হয়েছে। তবে নদীপারে যাদের আবাসিক ঘর রয়েছে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের সরে যেতে সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার সকালে পাবনা শহরের হাউজ পাড়া ব্রিজ এলাকা থেকে উচ্ছেদ ও নদীর পাশ দিয়ে হাঁটার রাস্তা নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহামুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী ইছামতি নদীর সীমানা চিহ্নিত করে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। তবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ইছামতি নদীপারের যে সব বসতি রয়েছে তাদের এখনই উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, তাদের গৃহহীন না করে নিজেদের থেকে বাড়িঘর খালি করে দেয়ার জন্য কিছুটা সময় দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
তবে উচ্ছেদ অভিযান ও উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগে গতকাল থেকে আমরন অনশন শুরু করেছে ইছামতি নদীপাড়ের বৈধ বসতি দাবিদারেরা। গৃহহীন না করা এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, ইছামতি নদীর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নদী খননের মাধ্যমে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা ও নদীপারে রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রথম দফায় প্রায় ৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৮৪ কি.মি দীর্ঘ ইছামতি নদীর পাবনা পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত প্রায় ৯ কি.মি এলাকায় অবৈধ, দখল, দূষণ ও পানি প্রবাহের অভাবে নদীর অস্তিত্ব সংকটময়।
পাবনায় পদ্মা নদী থেকে উৎপন্ন হয়ে বিভিন্ন উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পাবনার বেড়া উপজলার যমুনা নদীতে মিশেছে ইছামতি নদী। উৎসমুখ দখল, ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীতে এখন পানির প্রবাহ নেই।
ইছামতি নদীতে প্রাণ ফেরাতে নদীর ৩৮ কি.মি এলাকা খনন করে নদীর পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে প্রায় ১২২০ কোটি টাকার প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন-
Comments