তদন্তকারীদের সব তথ্য দেয়নি চীন: ডব্লিউএইচও প্রধান

কোভিড-১৯ এর উৎস অনুসন্ধানে চীনে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্তকারী দলকে দেশটি সব তথ্য দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
WHO chief
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসুস। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

কোভিড-১৯ এর উৎস অনুসন্ধানে চীনে যাওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তদন্তকারী দলকে দেশটি সব তথ্য দেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসুস।

আজ বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছেন, চীনে যাওয়া তদন্তকারী দলের কাছ থেকে তথ্য আটকানো হয়েছিল।

এরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো অবিলম্বে চীনকে স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান চালাতে যাবতীয় তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানায়।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

চীনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে যৌথভাবে লিখিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও নেতৃত্বাধীন দলটি জানায়, সম্ভবত ভাইরাসটি অন্য প্রাণী থেকে বাদুড়ে এবং বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়েছে। ল্যাব থেকে এটি ছড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম।

দলটি জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে চীনের উহান প্রদেশে চার সপ্তাহের অনুসন্ধান চালায়।

দলের এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, চীন ডব্লিউএইচও’র দলকে একেবারে প্রাথমিক তথ্য (র ডেটা) দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী এই মহামারি কীভাবে শুরু হয়েছিল তা বোঝার সম্ভাব্য প্রচেষ্টাগুলো জটিল হয়ে ওঠে।

ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘দলের সঙ্গে আমি আলোচনা করে জেনেছি, তারা প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। আমি আশা করি, ভবিষ্যতের সহযোগী গবেষণাগুলো আরও সময়োপযোগী হবে এবং বিস্তৃত তথ্য পাওয়া যাবে।’

ডব্লিউএইচওকে অনুসন্ধান চালাতে চীন বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ইসরায়েল, জাপান, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে, কোরিয়া, স্লোভানিয়া, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ‘সারস-কোভ-২ ভাইরাসের উত্স নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের গবেষণায় উল্লেখযোগ্যভাবে দেরি হয়েছে এবং এটি অসম্পূর্ণ। এতে মূল তথ্য ও নমুনার অভাব ছিল।’

আরও পড়ুন:

ল্যাব নয়, সম্ভবত প্রাণী থেকেই ছড়িয়েছে করোনা: ডব্লিউএইচওর খসড়া প্রতিবেদন

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

6h ago