মুন্সিগঞ্জে মামলায় ১৫ হেফাজত নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা ৬০০ আসামি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় গত রোববারের হরতালে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনার দুদিন পর হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সভাপতি ওবায়দুল্লাহ কাশেমীসহ ১৫ সদস্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার প্রায় ৫৬ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলাটি দায়ের করে।
ঘটনার দিন মধুপুর মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ আহত হন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে মামলায় আসামি করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে তার দুই ছেলে ওবায়দুল্লাহ কাশেমী ও আব্দুল্লাহকে আসামি করা হয়েছে। তারা মামলার ১০ ও ৯ নম্বর আসামি।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘৫৪ ধারায় আট জনকে আটক করে গত সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। তারা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলায় এজাহার ভুক্ত ১৫ আসামি হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা ও আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে মামলাটি দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে।’
আজ বিকাল ৩টা পর্যন্ত নতুন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
মাওলানা আব্দুল হামিদকে আসামি না করার ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. মাহফুজ আফজাল বলেন, ‘হরতাল চলাকালীন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তার সম্পৃক্ত ছিলেন না। এজন্য তাকে আসামি করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষ, আহত ওসি ঢাকায় হাসপাতালে
Comments