গান পাউডারের ব্যবহার প্রমাণ করে তাণ্ডবের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত: হানিফ
ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতের হরতালে গান পাউডার ব্যবহার করে নাশকতা এটাই প্রমাণ করে যে তাণ্ডবের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত, মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, 'গান পাউডার তো হেফাজতের সাধারণ মুসুল্লির কাছে থাকার কথা নয়। একাত্তর সালে গান পাউডারের ব্যবহার দেখেছি জামায়াতের রাজাকার, আল-বদরদের কাছে। আর এখন গান পাউডার ব্যবহার করতে দেখছি একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রেতাত্মাদের কাছে।'
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, 'এটা পরিষ্কার যে হেফাজতের কাঁধে ভর দিয়ে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বিএনপি-জামাত। ধর্ম ব্যবসায়ী হেফাজতকে উসকে দিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে পঞ্চাশ বছরে পা দেওয়া বাংলাদেশকে তারা কালিমা লেপন করতে চাইছে।'
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়েছেন বলে জানান।
তাণ্ডবের ঘটনাগুলোকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, 'এর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের যে সম্পৃক্ততা আছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। নরেন্দ্র মোদির আগমনে বিরোধীদের উস্কে দিয়েছে বিএনপি। মার্চের শুরুর দিক থেকেই মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা ২০২১ সালের মধ্যেই সরকারের পতন হবে বলে হুংকার দিচ্ছেন। তাদের কোনও সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা না থাকা স্বত্বেও তারা কিসের ভিত্তিতে এমন হুংকার দিচ্ছেন। তারা নিজেদের সক্ষমতা এবং জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন জামায়াতের কাঁধে ভর করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, 'হেফাজত ও জামায়াতের কাঁধে ভর করেছে বলেই বিএনপির এক নেত্রী বাসে আগুন দিয়ে ভিডিও করছে লন্ডনে পাঠানোর জন্য। লন্ডনে বসেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।'
গত রোববার হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ও আশুগঞ্জে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতটি মামলায় সাড়ে আট হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
Comments