খালি হাতে না ফিরতে বাংলাদেশের শেষ সুযোগ
নিউজিল্যান্ডের মাঠে ২৬ হারের রেকর্ড নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেদেশের স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন সংস্করণে কখনই না জেতা বাংলাদেশ এবার হেরেছে আরও পাঁচ ম্যাচ। শেষ টি-টোয়েন্টিটাও হারলে ৩২-০ ফল নিয়ে ফিরতে হবে। পীড়াদায়ক এই পরিসংখ্যান খানিকটা হলেও বদলা চান ক্রিকেটাররা। সৌম্য সরকার জানালেন, তিন বিভাগে ভাল করে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটা তারা জিততে মরিয়া।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কের বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হবে দুদলের শেষ টি-টোয়েন্টি। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও খোয়াতে হয়েছে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতলেও সিরিজের ফল বদলানো যাবে না। তবু নিউজিল্যান্ড থেকে আরও একবার জয়বিহীন ফেরার তেতো অভিজ্ঞতা বদলানোর সুযোগটাই বাংলাদেশের কাছে এখন বড়।
আগের ম্যাচে অবশ্য সুযোগটা এসেছিল বেশ ভালোভাবে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডি/এল মেথডে ভুল লক্ষ্য পেয়ে ৯ বল খেলার পর বাংলাদেশ পায় ১৬ ওভারে ১৭০ রানের লক্ষ্য। সেটা ১৪ ওভার পর ১ রান বেড়ে যায়। তবে সেই লক্ষ্য দুর্দান্ত ইনিংসে আশা জাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। নিজের খেলা প্রথম ১৫ বলেই করে ফেলেন ৪০ রান। ২৫ বলে ফিফটি তুলে তার বিদায়ের পর আর ম্যাচে থাকেনি বাংলাদেশ।
এভাবে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটাতেও সুযোগ এসেছিল। ২৭১ রান করে নিউজিল্যান্ডকে চেপেও ধরেছিল। পরে ক্যাচ মিস আর বাজে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে পুড়তে হয় হারের আক্ষেপে।
শেষ ম্যাচের আগে সৌম্য জানালেন তিন বিভাগে একসঙ্গে জ্বলে না উঠাতেই হচ্ছে এই সমস্যা, ‘অবশ্যই এখানে জেতা সম্ভব। তবে আমরা যেভাবে খেলছি, হয়তো একদিন ব্যাটিংয়ে ভালো করছি, একদিন বোলিংয়ে…ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, তিনটিতেই একসঙ্গে ভালো করতে পারলে কাজটা সহজ হতো, জেতা সম্ভব হতো।’
শেষ ম্যাচে গিয়ে অন্তত তিন বিভাগে ভাল করে ফল নিজেদের পক্ষে আনার পণ তার, ‘আর একটি ম্যাচই বাকি আছে আমাদের। শেষ ম্যাচে যদি তিনটি বিভাগেই ভালো করতে পারি আমরা, তাহলে জেতা সম্ভব। সবশেষ ম্যাচে আমাদের ফিল্ডিং অনেক ভালো ছিল। একটা-দুইটা ছোট ছোট ভুল হয়েছে, এসব যদি আমরা না করি, তিনটি বিভাগে একসঙ্গে যদি ভালো করি, কালকে জিততে পারব।’
Comments