যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপ ও আরও ১২ দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

স্টার গ্রাফিক্স

যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশ ও আরও ১২ দেশের যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এই ১২টি দেশ হচ্ছে— আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ে।

আজ বৃহস্পতিবার বেবিচক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ৩ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এবং ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশ ও বিশ্বজুড়ে চলমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, যাত্রীদের শুধুমাত্র টার্মিনাল ভবনের ভেতরে রাখার শর্তে এসব দেশের এয়ালাইনন্সগুলোর শিডিউল ফ্লাইটে ট্রানজিট যাত্রীদের বাংলাদেশে আনার অনুমতি দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯’র টিকা নেওয়া থাকলেও বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীর অবশ্যই আরটি-পিসিআরভিত্তিক করোনা নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। এই পরীক্ষা করাতে হবে ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে।

দেশে আসা যাত্রীদের মধ্যে কোভিড-১৯’র কোনো লক্ষণ পাওয়া না গেলেও বাধ্যতামূলকভাবে তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করতে হবে।

যদি কোভিড-১৯’র লক্ষণ দেখা যায়, তবে বাধ্যতামূলকভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অথবা যাত্রীর নিজ ব্যয়ে সরকার অনুমোদিত হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

উল্লিখিত দেশগুলো ছাড়া অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে কেউ যদি ট্রানজিট বিমানবন্দরের বাইরে যান, তবে তার করোনা নেগেটিভ সনদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

ওই পয়েন্ট থেকে ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।

এ ছাড়াও, বাংলাদেশে আসা এমন সব যাত্রীকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অথবা যাত্রীর নিজ ব্যয়ে সরকার অনুমোদিত হোটেলে চার দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ সময়কালে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সময়সহ মোট ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনের জন্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago