ব্যর্থতার বৃত্তেই মুমিনুল

বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট সংস্করণের অধিনায়ক মুমিনুল হক। স্বাভাবিকভাবেই লাল বলের ম্যাচে তার দিকে আলাদা দৃষ্টি থাকে। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না অধিনায়ক। ঢাকা মেট্রোপলিসের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন। এর আগে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষেও তার ব্যাট কথা বলেনি।
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জাতীয় দলের টেস্ট সংস্করণের অধিনায়ক মুমিনুল হক। স্বাভাবিকভাবেই লাল বলের ম্যাচে তার দিকে আলাদা দৃষ্টি থাকে। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না অধিনায়ক। ঢাকা মেট্রোপলিসের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন। এর আগে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষেও তার ব্যাট কথা বলেনি।

ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে মুমিনুল দুই ইনিংসে রান করেছেন যথাক্রমে ১১ ও ১৩। এর আগে রাজশাহীর বিপক্ষে তার স্কোর ছিল ৬ ও ১৩। তবে আশার কথা ফের বোলিংয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক। শেষ দিনে ৫ ওভার বল করে ১৩ খরচ করে থেকেছেন উইকেটশূন্য। এর আগে উইন্ডিজের বিপক্ষে বোলিং না করা নিয়ে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছিল তাকে।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শেখ কামাল জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচটি ড্র হয়েছে। ৩৭০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ঢাকা মেট্রো ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তুললে ড্র মেনে নেয় দুই দল। প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রান করেছিল মেট্রো। চট্টগ্রাম তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৮ উইকেটে ৪০২ ও ৬ উইকেটে ২৩৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।

অথচ ম্যাচের প্রথম তিন দিন বেশ দাপট দেখিয়ে এগয়ে ছিল চট্টগ্রাম। তৃতীয় দিন শেষেও তাদের লিড ছিল ১৭৮ রান। তবে শেষ দিনে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছাতে ব্যাটিং করে ৩১ ওভার। শেষ পর্যন্ত ৩৬৯ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন মুমিনুল।

আগের দিনের ১ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে বড় লক্ষ্য ছুঁড়তে পারে। সাদিকুরের সঙ্গে ৬৯, মুমিনুলের সঙ্গে ২৯ ও ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫৩ রানের তিনটি দারুণ জুটি গড়েন জয়। নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ১০২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলার পর আরাফাত সানির দারুণ থ্রোতে রানআউট হন। ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া সাদিকুর ৪৭ ও ইয়াসির ৩৯ রান করেন।

ঢাকা মেট্রোর পক্ষে ৯৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট নেন শরিফুল্লাহ।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দারুণ করে ঢাকা মেট্রো। আজমির আহমেদ ও জাহিদুজ্জামানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৩ রান। খেলেন ২২.৫ ওভার। এরপর দুটি উইকেট হারালেও সমস্যা হয়নি। ড্র মেনেই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

১১২ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন জাহিদ। ৯ট চারে এ রান করেন তিনি। আজমিরের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। শামসুর রহমান করেন ২৩ রান।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Muhammad Yunus

Chief Adviser Yunus's UNGA trip a critical turning point

Now is the best chance for Bangladesh to strengthen international cooperation.

10h ago